নিজস্ব প্রতিনিধি: মাঝে মধ্যেই বলিউডের অনেক অজানা তথ্য সংবাদের পাতায় প্রকাশিত হয়। আজ তেমনই একটি অজানা তথ্য জানাতে চলেছি আপনাদের। কিংবদন্তি অভিনেতা অশোক কুমারকে তাঁর সহকর্মী এবং বন্ধুরা সবাই দাদামণি নামেই ডাকেন। সেই সময় বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ১ জানুয়ারিতে কাজ নিয়ম ছিল না। কিন্তু, তিনি বলিউড ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর জন্য তাঁর জীবনের সেই নিয়ম তিনি ভেঙেছিলেন। তবে তাঁর একটাই শর্ত ছিল যে, সবাই সময়মতো ফিল্মের সেটে আসবে। কিন্তু নববর্ষের আগের দিন পার্টি করা চলবে না।
একবার এমন হয়েছিল যে, ১৯৬৬ সালে কলকাতায় ‘মমতা’ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের সময়, ধর্মেন্দ্রকে লাদাখে চলে যেতে হয়েছিল।কারণ সেখানে তাঁর ‘হকিকত’ চলচ্চিত্রের শুটিং চলছিল। তাই, তিনি অশোক কুমারকে ১ জানুয়ারিতে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন যাতে তিনি সময়মতো তাঁর অন্য ছবির সেটে পৌঁছাতে পারেন। একবার অভিনেতা আন্নু কাপুর তাঁর রেডিও শোতে এই ঘটনাটি বর্ণনা করেছিলেন।
আন্নু কাপুরের কথায়, তখন ধর্মেন্দ্র অশোক জীকে বলেছিলেন, “দাদা, দয়া করে অ্যাডজাস্ট করুন, আমাকে লাদাখ পৌঁছাতে হবে।” অনেক বোঝানোর পর, অবশেষে অশোক কুমার রাজি হন। কিন্তু তিনি একটি শর্ত রেখেছিলেন, “আমি তোমার জন্য আমার নিয়ম ভঙ্গ করছি। তাই, আগামীকাল সেটে ঠিক সময়ে পৌঁছাতে ভুলবে না। আজ রাতে পার্টি করবে না এবং মাতাল হবে না।” ধর্মেন্দ্র তখন রাজি হয়ে হোটেলে যান। তবে অভিনেতা হোটেলে নববর্ষ উদযাপন দেখতে উৎসাহী হয়ে পড়েন। কুর্তা-লুঙ্গি পরেই লবিতে অনুষ্ঠিত পার্টিটি দেখার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও সেখানকার লোকেরা অভিনেতাকে চিনতে পেরে তাঁকে পার্টির ভিতরে টেনে নিয়ে যায়। এবং মদ পান করতে জোর করেন।
স্বাভাবিকভাবেই পরদিন সকাল পর্যন্ত ধর্মেন্দ্র মাতাল হয়ে পড়ে। যখন পার্টি শেষ হল, ধর্মেন্দ্র মাতাল অবস্থায় ছিলেন। তিনি তখন ভেবেছিলেন এখন যদি তিনি তাঁর হোটেলের ঘরে ফিরে যান, তাহলে তিনি সময়মতো সেটে পৌঁছতে পারবেন না। তখনই তিনি ভোর ৪টায় তার মেকআপ রুমে গিয়ে ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নেন। অবশেষে, অশোক কুমার সেটে এলে ধর্মেন্দ্রর বিষয়ে খোঁজখবর নেন। অবশেষে তিনি বুঝতে পারেন যে, অভিনেতা মাতাল ছিলেন। কারণ একটি দৃশ্যের শুটিং করার চেষ্টা করার সময়, ধর্মেন্দ্র অশোক কুমারের কোলে পড়ে যান, তখন তিনি বুঝতে পারেন ধর্মেন্দ্র মাতাল ছিলেন। তখনই ধর্মেন্দ্রকে সেরে উঠতে সময় দেন সিনিয়র অভিনেতা। এবং পরে তাঁরা বিকেলের মধ্যে ছবির শুটিং শেষ করে ধর্মেন্দ্র লাদাখ চলে যান।