আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বকাপ শুরুর অনেক আগে থেকে আর্জেন্তিনার ফুটবল পাগল মানুষ কাতার যাওয়ার জন্য টিকিট কেটে রেখেছিল। আর কোয়ার্টার ফাইনালে মেসিরা ওঠায় টিকিটের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করে। ফাইনালে ওঠার পর সেই চাহিদা বেড়ে হয় কয়েকগুন। আধঘণ্টায় খোলার আধঘণ্টার মধ্যে সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। একসঙ্গে এতজনকে কাতার পৌঁছে দিতে গিয়ে আর্জেন্তিনা বিমান সংস্থার কর্তারা মাথার চুল ছিড়ছেন। ভিড় সামাল দিতে শনিবার দোহার জন্য আরও দুটি অতিরিক্ত বিমান চালায় আর্জেন্তিনা। তারপরেও বিমানবন্দরে লোক আর কমে না। আর্জেন্তিনা ফুটবল সংস্থার সব টিকিট শেষ।
আর্জেন্তিনার রাষ্ট্রীয় উড়ান সংস্থা এরোলিনিয়াস আর্জেন্তিনা জানিয়েছে, বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকে তারা ১২টি অতিরিক্ত বিমান চালায়। এখনও পর্যন্ত চার হাজার আর্জেন্তিনা সমর্থকে তারা কাতার পৌঁছে দিয়েছে। আর্জেন্তিনা ফাইনালে ওঠার পর তারা আরও অতিরিক্ত আটটি বিমান চালাতে শুরু করে। আটটির মধ্যে চারটি বিমানের সব টিকিট শেষ।বাকি যে চারটি বিমান রয়েছে, সেই চারটি বিমানে বাকিদের কাতার পৌঁছে দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে তারা ঘোর সন্দেহে রয়েছে।
অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে স্টেডিয়ামে ৫০ হাজার মেসি সমর্থক থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আর্জেন্তিনা-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে স্টেডিয়ামে ছিল প্রায় এক লক্ষের কাছাকাছি দর্শক। রবিবার ফাইনাল অতীতের রেকর্ড সব ভেঙে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুরু হয়ে গেল ফাইনালের কাউন্টডাউন।