আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সূর্য তখনও ওঠেনি।
আর্জেন্তিনার বুয়েন্স এয়ার্সে বিমানবন্দরে থিকথিকে ভিড়। উড়ানের চাকা রানওয়ের মাটি সবে স্পর্শ করেছে। বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়ল মেসি ভক্তরা। দরজা খুলে কাপ হাতে মেসি বেরিয়ে আসতেই মেসি-মেসি বলে চিৎকার। সেই চিৎকারে কেঁপে উঠল বিমানবন্দর। স্থায়ী ছিল বেশ কয়েক মিনিট। মেসির পিছনে ছিলেন কোচ স্ক্যালোনি। স্ক্যালোনির পরেই বেরিয়ে আসেন দলের ফরওয়ার্ড জুলিয়ান অ্যালভারেজ। পরে একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করেন বাকি খেলোয়াড়েরা। রানওয়েতে যারা দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাদের সকলের চোখ মেসির দিকে। বিমানবন্দরে মেসিদের অভ্যর্থনা জানানো হয়।
আপাতত মেসিরা থাকবেন আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স। বিমানবন্দর থেকে ওই কমপ্লেক্সের দূরত্ব খুব বেশি নয়। মেসিদের সেখানে পৌঁছতে লেগে গেল কয়েক ঘণ্টা। রাস্তার দুইপাশে মেসিদের দেখার জন্য ভিড়।
২৫ বছরের মেসি-ভক্ত অ্যায়ির্তন কেরদোকাস জানিয়েছেন, সোমবার রাত থেকেই বিমানবন্দরে ছিলাম। গতকাল সব কাজ ফেলে বিমানবন্দরে চলে আসি। কারণ, বিমানবন্দরে ঢুকতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। এসে দেখি, আমার আগে অনেকেই বিমানবন্দরে চলে এসেছেন। কোনওরকমে বিমানবন্দরের ব্যালকনিতে প্রবেশ করি। কাপ হাতে মেসিকে দেখতে পেয়ে দারুণ লাগছে। মারাদোনাকে চোখে দেখার সুযোগ হয়নি। বাবার মুখে শুনেছিলাম। সেই সময় বিমানবন্দরেও ভীড় ছিল।
মেসিদের আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের বাইরে ছিল বাস। বাস ঘিরে রয়েছেন মেসি ভক্তরা।