আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার সৈকতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হল বিলুপ্ত প্রজাতির ৬০টি বেশি পেঙ্গুইন। মৌমাছির হামলার ফলেই তাদের মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে। মৃত পেঙ্গুইনের শরীরে মৌমাছির কামড়ের দাগ ছাড়া অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। মৌমাছি হামলায় একসঙ্গে এত বিরল প্রজাতির পেঙ্গুইন মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় অভয়ারণ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পেঙ্গুইনের ওপর মৌমাছির আক্রমণের বিষয়ে এবারই প্রথম জানা গেল। এই এলাকায় প্রতি বছর অন্তত ৬০ হাজার পর্যটকের ওপর হামলা করে থাকে এসব মৌমাছি। ন্যাশনাল পার্কস এজেন্সির মেরিন বায়োলজিস্ট ড. অ্যালিসন কোক জানান, সাধারণত পেঙ্গুইন আর মৌমাছি সহাবস্থান করে থাকে। বিরক্ত না করলে মৌমাছি সাধারণত কাউকে কামড় দেয় না। আমাদের ধারণা, হয়তো কোনো মৌচাকে পেঙ্গুইন হামলা করে। ফলে ঝাঁক বেঁধে মৌমাছিগুলো বেরিয়ে গেছে এবং আগ্রাসী হয়ে পেঙ্গুইনদের কামড়াতে শুরু করে। শুক্রবার আরেকটি পেঙ্গুইনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল, যেটির শরীরেও একই রকম মৌমাছির দংশনের চিহ্ন রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূলীয় পাখি সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের পশু চিকিৎসক ডেভিড রবার্টস বলেন, এ রকম ঘটনা আর ঘটবে বলে আমরা মনে করি না, এটি আসলে অপ্রত্যাশিত একটি ব্যাপার। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ ন্যাচার জানিয়েছে, এই প্রজাতির পাখির সংখ্যা খুব দ্রুত কমছে। বাণিজ্যিকভাবে মাছ ধরা আর পরিবেশগত অস্থিতিশীলতা এর জন্য দায়ী।
‘অন্তরীপের মৌমাছি’ নামে পরিচিত এই মৌমাছিগুলোও এখানকার ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্রের অংশ, যারা বেশ কয়েকটি সংরক্ষিত এলাকাজুড়ে বসবাস করে।