আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হিজাব না পরে স্কুলে আসায় পডু়য়াকে স্কুলের মধ্যেই কয়েকজন ধর্ষণ করেন। গুরুতর অবস্থায় ওই পডু়য়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম মাসুমেহ। ওর বাড়ি তেহরানে। হৃদয় বিদারক ঘটনার খবর দিয়েছে দ্য টাইমস। ভয়াবহতা আরও আছে। নির্যাতিতার মা পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলে রাস্তা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি। অন্যদিকে, ইরান পুলিশ এই নিয়ে কিছু বলতে চাইছে না।
হিজাব পরতে অস্বীকার করায় ইরানের তরুণী মাহশা আমিনিকে পুলিশ রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়। লকআপে থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পর থেকে ইরান রীতিমতো তেতে রয়েছে। আগে বিক্ষোভ শুধুমাত্র রাজধানী তেহরানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। সেই বিক্ষোভ এখন ১৪০টি শহর এবং শহরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেইনিকে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের ধমকাতে। তাঁর সেই হুমকি উপেক্ষা করে রাস্তায় হাজার-হাজার তরুণী। বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে পুলিশকে গুলিতে এখনও পর্যন্ত সাতশোজন প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠই তরুণ ও তরুণী। এই বিক্ষোভ খুব সহজে থামবে না বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিকমহল। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে আমেরিকা। রেখেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। জাতিসঙ্ঘের নারী অধিকার রক্ষা কমিশন থেকে ইরানকে বের করা হয়েছে। দমন-পীড়নের নিন্দায় খামেইনির বোন।
আরও পড়ুন হিজাব: জাতিসঙ্ঘের নারী অধিকার রক্ষা কমিশন থেকে ইরানকে ঘাড়ধাক্কা