আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ টানা ২ মাস ধরে চলছে ইজরায়েল এবং গাজার মধ্যে সংঘর্ষ। ইজরায়েল বাহিনীর হামলার জেরে গাজায় শুরু হয়েছে খাদ্য সংকট। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উপ-পরিচালক কার্ল স্কাউ কার্লের জানিয়েছেন,’ গাজায় পর্যাপ্ত খাবার নেই। মানুষ অভুক্ত থাকছে।‘ ডব্লিউএফপির উপ-পরিচালক আরও বলেন, প্রয়োজনীয় ত্রাণসহায়তাও ঢুকতে পারছে না গাজায়। বর্তমানে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন বাসিন্দাদের জুটছে না খাবার। গাজার চলমান পরিস্থিতির কারণে সেখানে সহায়তা সরবরাহ ‘প্রায় অসম্ভব’ হয়ে উঠেছে।
গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ওই দিনই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে পাল্টা হামলা শুরু করে ইজরায়েল বাহিনী। বর্তমানে গাজায় ত্রাণসহায়তা প্রবেশেও বিধিনিষেধ আরোপ করে ইজরায়েল । অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দারা ত্রাণসহায়তার ওপর নির্ভরশীল। সেই ত্রাণ বন্ধ হওয়ায় গাজায় খাবার জুটছে না ৯০ শতাংশ মানুষের।
প্রসঙ্গত, টানা দু মাস ধরে চলছে ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইনের মধ্যে রক্তাক্ত সংঘাত। গাজার তরফে জানানো হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ১৬ হাজার ২৪৮ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭ হাজার ১১২ জন মানুষ শিশু এবং নারী রয়েছেন ৪ হাজার ৮৮৫ জন। পাশাপাশি নিহতের সঙ্গে বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। টানা ২ মাসে গাজায় আহত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৬১৬ জন। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ৪৩ হাজার ৬১৬ জন।
গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি হামলা এতোটাই তীব্র রূপ নেয় যে, গত এক মাসে ওই উপত্যকায় যতো হতাহত হয়েছে তা ২১ মাসে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের হতাহতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলার পর মিশর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর দুই দফায় মোট তিন দিন বাড়ানো হয় যুদ্ধবিরতি। ১ ডিসেম্বর এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় পরেই আবারও গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনারা।