আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট (President) কোথায়, তা কেউ জানে না। দেশে যে নেই, তা নিয়ে কারও মনে কোনও সন্দেহ নেই। অনেকেই শনিবার তাকে দেখেছে জাহাজে করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে। কিন্তু কোথাও গিয়েছে, সে ব্যাপারে কেউ কিছুই জানে না। আর রবিবার তাঁর দফতর জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট (President) । জ্বালানি তেল সরবরাহের সঙ্গে জড়িতদের বলছেন, দেশের প্রতিটি মানুষ যাতে তেল কিনতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রেসিডেন্টের দফতর (office) জানিয়েছে, তিনটি জাহাজে করে তেল আসার কথা শ্রীলঙ্কায়। একটি জাহাজ রবিবার বিকেলে কেরাওয়ালাপিতিয়ায় পৌঁছে গিয়েছে। জাহাজে রয়েছে ৩,৭০০ মেট্রিক টন এলপিজি (LPG) । আগামীকাল, ১১ জুলাই (July) আরও একটি তেল বোঝাই জাহাজ শ্রীলঙ্কা পৌঁছবে। তৃতীয় জাহাজটি কলম্বো পৌঁছবে ১৫ জুলাই। তৃতীয় জাহাজে তেল থাকবে ৩,২০০ মেট্রিক টন।
দ্বীপরাষ্ট্র মারাত্মক জ্বালানি (fuel) সংকটে ভুগছে। জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় দেখা দিয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের সংকট। খাদ্য সমস্যায় জেরবার দ্বীপরাষ্ট্রের মানুষ তারা প্রেসিডেন্টের (President) ইস্তফার দাবি তুলেছে। যদিও প্রেসিডেন্ট জানিয়েছে তিনি ইস্তফা দিতে নারাজ। দেশের পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে সে ব্যাপারে কেউ কিছুই বলতে পারছে না। এদিকে, শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (IMF)। শ্রীলঙ্কার তরফ থেকে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে। ভারত (India) ইতোমধ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সাহায্যের হাত বাড়ি দিয়েছে চিনও। এখন দেখার বন্দরে জাহাজ (Ship) পৌঁছনর পর তা লুঠ হয়ে যায় কি না।
আরও পড়ুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চূডা়ন্ত ব্যর্থ, দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী বরিস