নিজস্ব প্রতিনিধিঃ একসপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাজায় ইজরায়েলের হত্যাযজ্ঞ চলছে। গত শনিবার হামাস হামলা হয় ইজরায়েলে। তার প্রতিবাদে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী কার্যত মুখদন্ত খিঁচিয়ে শক্তি প্রমাণ করছে। রেহাই পায়নি শিশু থেকে শুরু করে মহিলা। হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহ রাখার জায়গা নেই। এবার রেহাই পাচ্ছেনা সাংবাদিকেরাও। ১১ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে ইজরায়েল হত্যা করেছে। গত ৭ই অক্টোবর থেকে ইজরায়েলের বিমান হামলায় ১১ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সিন্ডিকেট।
গাজা কার্যত ধ্বংসপুরীতে পরিণত হয়েছে। ইজরায়েলের হামলায় ভবনগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। গাজা উপত্যকায় স্থল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইজরায়েল। আগেও ইজরায়েল আকাশপথে, সমুদ্রপথে এবং স্থলপথ থেকে গাজায় হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে। রবিবার, গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে সাধারণ নাগরিকদের দক্ষিণ অংশে চলতে যেতে বলেন ইজরায়েলি সেনারা। তিন ঘন্টা সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। গাজায় জল, বিদ্যুৎ এবং খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে ইজরায়েল।
শনিবার থেকে পুনরায় গাজায় জল সরবরাহ শুরু হয়। জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় (ওসিএইচএ) সোমবার বলেছে যে গাজা উপত্যকা জুড়ে সমস্ত হাসপাতালে জ্বালানীর মজুদ আরও ২৪ ঘন্টা স্থায়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইজরায়েলের প্রাণঘাতী হামলায় অন্তত ২৭৫০ জন নিহত হয়েছে এবং প্রায় ১০,০০০ জন আহত হয়েছে। আরও ১০০০ মানুষ নিখোঁজ। তাঁরা ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে বলেই আশঙ্কা। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় অন্তত ১৩০০ ইজরায়েলি নিহত হয়েছে।