নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঠমান্ডু: নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় (Nepal Plane Crash) একই পরিবারের সাত সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মুক্তিনাথ মন্দিরে (Muktinath Temple) পুজো দেওয়ার উদ্দেশেই রবিবার সকালে পোখরা থেকে বিমানে চেপেছিলেন ধনুষা জেলার (Dhanusha District) মিথিলার (Mithila Municipality) বাসিন্দা গৌলে পরিবার। কিন্তু অলক্ষ্যে হয়তো ভাগ্যদেবতা হেসেছিলেন। তাই মন্দিরে পুজো দেওয়ার ইচ্ছে অপূর্ণই থেকে গেল। মাঝ আকাশেই বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হল পরিবারের সাত সদস্যকে। আর এই ঘটনায় কার্যত গৌলে পরিবারের বাকি সদস্যরা শোকে মুহ্যমান।
রবিবার সকাল নয়টা পঞ্চান্ন মিনিট নাগাদ পোখরা (Pokhara) থেকে জমসমের উদ্দেশে তিন ক্রু ও ১৯ যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছিল তারা এয়ারের ছোট বিমান। মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যেই মুস্তাঙ্গের জমসম বিমানবন্দরে ( Jomsom Airport) অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু উড়ার মিনিট পনেরো বাদেই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (Air Traffic Control) সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানটির। শেষ পর্যন্ত মুস্তাঙ্গের লার্জুঙ্গে খোঁজ মেলে বিমানের ধ্বংসাবশেষের (Plane Debris)। আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার পাঠানো যায়নি।
সোমবার সকালে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের উদ্ধারকার্যে নামানো হয়। বিকেল তিনটে পর্যন্ত মোট ১৬ জনের নিথর দেহ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা। বাকি সদস্যদের দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। নেপাল সেনার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের সাত সদস্য রয়েছে। ওই সাতজন হলেন রাজেন গৌলে (Rajen Goule), ইন্দ্রবাহাদুর গৌলে (Indrabahadur Goule), পুরুষোত্তম গৌলে (Purushottam Goule), রামমায়া তামাড (Rammaya Tamad), তুলসা দেবী তামাড (Tulsidevi Tamad), মকরবাহাদুর তামাড (Makarbahadur Tamad) ও সুকুমায়া তামাড (Sukumaya Tamad)।