আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চারজনের একজনও প্রধানমন্ত্রী পদে পুরো মেয়াদ থাকতে পারেননি। এসেছেন আর গিয়েছেন।
কারা কারা এসেছেন আর গিয়েছেন এই কয় বছরের মধ্যে?
ক্যামরন, থেরেসা মে, বরিস জনসন এবং লিজ ট্রাস। কারও সঙ্গে তেমন বন্ধুত্ব তৈরি হয়নি ল্যারির। এবার তার ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রী তাকেই করা হোক। কারণ, এই কয় বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদে আসা-যাওয়া ঘটলেও সেই একমাত্র ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের স্থায়ী বাসিন্দা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ল্যারির একটি ছবি।ছবিটি অবশ্য ফোটোশপে তৈরি করা। সেই ছবির নীচে ছোট্ট একটা ক্যাপশন লেখা – কাউকে প্রধানমন্ত্রী হতে হবে না। আমিই হব প্রধানমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবি ও পোস্ট এখনও পর্যন্ত দেখেছে কয়েক হাজার। এর মধ্যে ৭০ হাজার মানুষ নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। ১৫ হাজার মানুষ সেটা রিটুইট করেন।
সময়ের আগেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার ঘটনায় রীতিমতো চটে রয়েছেন ল্যারি। তার টুইটার হ্যান্ডলে ব্রিটেনের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেওয়া হয়েছে। ল্যারি জানিয়েছে, আর কাউকে প্রধানমন্ত্রী হতে হবে না। রাজা তৃতীয় চার্লস আমায় প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হব। দায়িত্বের সঙ্গে দেশ শাসন করব।একা ল্যারি নয়, সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্রিটেনের নাগরিকও রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তাদের প্রত্যেকের মত, ব্রিটেন এমন রাজনৈতিক অস্থিরতা আগে কখনও তৈরি হয়নি।
উল্লেখ করা যেতে পারে, বরিস জনসনের ইস্তফার খবর বাতাসে ভাসতে শুরু করলে সেই সময় ল্যারির টুইটার অ্যাকাউন্টে টুইট করা হয়েছিল সেও এবার সরকারি বাসভবন ছাড়বে।