আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফের সেনাবাহিনীর নারকীয় হত্যালীলার সাক্ষী থাকল মায়ানমার। গত শনিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শান রাজ্যের একটি বৌদ্ধ মঠে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানে চালানোর নামে তিন বৌদ্ধ ভিক্ষু সহ ৩০ জন নিরীহ মানুষকে খুন করেছে সেনা সদস্যরা। ওই হামলায় আরও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর এমন হত্যালীলার নিন্দায় সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ সংগঠনগুলি।
গত ২০২১ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি আউং সু চি’র নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছিল সেনাবাহিনী। আর ওই ক্ষমতা দখলের পরেই দেশজুড়ে ব্যাপক দমনপীড়ন ও নির্যাতন চালিয়ে চলছে সেনা সদস্যরা। সেনা অভুত্থানের পর এখনও পর্যন্ত সেনা সদস্য ও নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা অগুনতি। সামরিক অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে হাজার হাজার বিদ্রোহী ও জান্তা সরকারের বিরোধীভাবাপন্ন নাগরিককে।
সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’ জানিয়েছে, গত শনিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শান রাজ্যের নান নিন নামে একটি গ্রামে হানা দেয় মায়ানমারের সেনা সদস্যরা। গ্রামে ঢুকেই গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। সেনাদের এলোপাতাড়ি গুলি থেকে বাঁচতে স্থানীয় বাসিন্দারা স্থানীয় একটি বৌদ্ধ মঠে আশ্রয় নেন ওই মঠে ঢুকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ভিক্ষুসহ বেসামরিক নাগরিকদের মঠের পাকড়াও করে মঠের সামনে লাইনে দাঁড় করিয়ে নির্মমভাবে গুলি করে খুন করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও’তে দেখা গিয়েছে, মঠের সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে লাশ। তার মধ্যে কয়েকজন বৌদ্ধ ভিক্ষুও রয়েছেন। মরদেহগুলোর প্রত্যেকটিতে একাধিক গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি করছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি।