নিজস্ব প্রতিনিধি : মায়ানমারে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিল শতাধিক মায়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ। সোমবার বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে এই কথা জানানো হয়েছে। এর আগে মিজোরামে মায়ানমার সেনাদের আশ্রয় নেওয়ার খবর সামনে এসেছিল। এবার বাংলাদেশে আশ্রয় নিল মায়ানমারের সেনা।
বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত মায়ানমারে ১০৩ জন মায়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ আশ্রয় নিয়েছে। তাঁদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজরে রেখেছে বাংলাদেশ প্রশাসন। বর্ডার গার্ড পুলিশের আশ্রয় নেওয়া নিয়ে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে বিদেশ মন্ত্রক পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কীভাবে মায়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশকে ফেরত পাঠানো হবে, কিংবা এখনই ফেরত পাঠানো না গেলে বিকল্প কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেবিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে কোনওরকম আগ্রাসী মনোভার না দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ধৈর্য দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত রবিবার বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তে নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় জলপাইতলি এলাকায় বেশ কয়েকটি মর্টারশেল ছোড়ে মায়ানমার সেনা। মায়ানমার সেনার ছোড়া গুলিতে দুই বাংলাদেশি পুরুষ ও মহিলার মৃত্যু হয়েছে।