আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেপালের বিমান দুর্ঘটনার অন্তর্তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।
এদিনের একটি খবরে জানা যায়, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের কো-পাইলটের স্বামীর মৃত্যু হয় বিমান দুর্ঘটনাতে। আর রবিবার অভিশপ্ত বিমানের কো-পাইলট ছিলেন তাঁর স্ত্রী। স্বামী মারা যান ১৬ বছর আগে। আর স্ত্রীর মৃত্যু হল রবিবার। একই দিনে আরও একটা চাঞ্চল্যকর খবর জানা গেলে।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান সংস্থার শীর্ষকর্তা আং শেরিং শেরপাও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। দুর্ঘটনাটি ঘটে ২০১৯-য়ের ফেব্রুয়ারি। ওই বছর নেপালের তৎকালীন অসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী রবীন্দ্র অধিকারী এবং মন্ত্রকের কয়েকজনের সকালে একটি নির্মিয়মাণ বিমানবন্দর পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল। মাঝ আকাশে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। দুর্ঘটনায় সকলের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে বিমান সংস্থার শীর্ষকর্তা আং শেরিং শেরপাও ছিলেন।
ভোর চারটে নাগাদ নেপালের তৎকালীন অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী-সহ চারজনকে নিয়ে রওনা দেয় হেলিকপ্টার। প্রথমে তারা গিয়েছিলেন নেপালের একটি বিখ্যাত মন্দিরে। সেখানে পুজো দিয়ে ফেরার সময় হেলিকপ্টারটি একটি পাহাড়ের ধাক্কা মারলে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সকলের। রবীন্দ্র অধিকারী ছাড়া অভিশপ্ত হেলিকপ্টারে ছিলেন মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক, নেপালের অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের ডেপুটি ডাইরেক্টর, মন্ত্রকের ডাইরেক্টর।
জানা গিয়েছে, আং শেরিং শেরপা যোতী এয়ারলাইন্স ছাডা়ও আরও দুটি বিমান সংস্থার মালিক ছিলেন। দুটি সংস্থা হল তারা এয়ারলাইন্স এবং হিমালয় এয়ারলাইন্স।
এদিকে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।