আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক করলেন ঋষি সুনক। বৈঠক হয় সোমবার, কমনস চেম্বারে। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, আগামীদিনে ব্রিটেন কোন পথে এগোবে, দিশা কী হবে, তা নিয়ে বৈঠকে সবিস্তার আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক স্থায়ী ছিল এক ঘণ্টা। বৈঠকের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। বৈঠক শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী সুনক মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এই বৈঠকের পরেই পার্লামেন্টে তাঁকে চোখা-চোখা প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। প্রশ্ন করবেন পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতা কেইর স্টারমের। অনুষ্ঠানের শিরোনাম প্রাইম মিনিস্টার্স কোশ্চেনস (Prime Minister Questions)।বলা হয় এই প্রশ্নপর্ব এতটাই কঠিন যে যে কোনও প্রধানমন্ত্রীর ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটতে পারে। প্রশ্ন করবেন মাত্র ছয়টি। রাজনৈতিকমহলের আশঙ্কা, সুনককেও সুকঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে।কারণ, সুনক ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে বসিয়েছেন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে। সুয়েলা ব্রেভারম্যানের পরিচয় তিনি একজন ভারত-বিদ্বেষী। লিজ ট্রাসের আমলে তাঁকে একাধিকবার ভারত-বিরোধী মন্তব্য, টিপ্পনি কাটতে শোনা গিয়েছে। লিজের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে আবার স্বপদে বহালের সিদ্ধান্ত নেন ঋষি।
সুয়েলা প্রথমত ভারত-বিদ্বেষী। দ্বিতীয়ত, তার বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ব্যক্তিগত ই-মেল থেকে স্বরাষ্ট্র দফতরের গুরুত্বপূর্ণ নথি তিনি তাঁর দফতরের এক কর্মীকে পাচার করে দেন। সেটা ধরাও পড়ে। এই ব্যাপারে সুয়েলাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এর জন্য তিনি বিন্দুমাত্র দায়ী নন। যা কিছু হয়েছে সেটা প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে। সেই বিতর্কিত ব্যক্তিকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়েছেন ঋষি। ফলে, তার প্রধানমন্ত্রিত্বকালে সুয়েলা কোনও কুকীর্তি ঘটায় কি না, সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন ঋষি সুনককে প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ বরিস জনসনের