আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জল্পনার অবসান ঘটালেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকেশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন আগামী জুলাই মাসের প্রথম দিকেই বিশেষ সংরক্ষণ ব্যবস্থা প্রস্তুত হওয়ার পর বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন শুরু করবে রাশিয়া। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে এই প্রথম রাশিয়ার বাইরে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের পথে হাঁটছে মস্কো। রুশ প্রেসিডেন্টের ঘোষণা নিয়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ তারিখে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। গত ১৫ মাস ধরে চলছে দুই দেশের যুদ্ধ। আর ওই যুদ্ধ ঘিরে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন-সহ পশ্চিমী দেশগুলি ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভারত, চিন-সহ একাধিক দেশ অবশ্য ‘সম দুরত্ব’ বজায় রেখে চলেছে। একাধিকবার মস্কোর পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করা হবে।
গত মার্চেই আচমকাই ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, বেলারুশে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া। আর ওই ঘোষণার পরেই শোরগোল পড়ে যায়। জল্পনা ছড়াসয়, তবে কী ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পারমাণবিক যুদ্ধের পথে হাঁটছে রাশিয়া? সেই সময়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘এর মধ্যে অস্বাভাবিকতার কিছু নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দশকের পর দশক ধরে মিত্র দেশগুলোর ভূখণ্ডে তাদের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করেছে।’ এদিন বেলারুশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পুতিন। ওই বৈঠকেই লুকেশেঙ্কো জানতে চান, কবে রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করবে? জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মাসখানেকের মধ্যেই বিশেষ সংরক্ষণ ব্যবস্থা তৈরি হয়ে যাবে। ৭ থেকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে ওই ব্যবস্থা তৈরির পরে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করা হবে।’