নিজস্ব প্রতিনিধি : তিনি প্যালেস্টাইনের নাগরিক নন। বাড়িও প্যালেস্টাইন থেকে কয়েক যোজন দূরে। তবে ইজরায়েলি সেনা যেভাবে প্যালেস্টাইন নাগরিকদের ওপরে হামলা চালাচ্ছে, তার প্রতিবাদ জানাতে সরব হয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর সদস্য অ্যারন বুশনেল। শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহুতি দিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত এই অ্যারন বুশনেলের নামেই হয়েছে প্যালেস্টাইনের একটি সড়কের নাম।
সম্প্রতি বিমানবাহিনীর সদস্যের নামে নতুন এই সড়কের নামফলক উন্মোচন করেন জেরিকোর মেয়র আব্দুল করিম সিদর। জেরিকো শহরের দক্ষিণে অ্যারন বুশনেল সড়কটি। অ্যারন বুশনেল সড়কটি মাহমুদ দারবিশ সড়কের একটি শাখা। উল্লেখ্য, মাহমুদ দারবিশকে জাতীয় কবি বলে স্বীকৃতি দিয়েছে প্যালেস্টাইন নাগরিকরা। নতুন এই সড়কটি প্যালেস্টাইনের পশ্চিম তীরে জেরিকো শহরে। সড়কের নামফলক উন্মোচন করার পর মেয়র আবদুল করিম সিদর জানান, ‘আমরা তাঁকে চিনতাম না। তিনিও আমাদের চিনতেন না। তবে আমাদের মধ্যে কোনও সামাজিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক বন্ধন ছিল না। তবে আমাদের সঙ্গে যে বিষয়টি মিলে যায়, সেটি হল স্বাধীনতার প্রতি ভালবাসা।‘
জেরিকোর বাসিন্দা আমানি রায়ান জানিয়েছিলেন, অ্যারন বুশনেল ও মাহমুদ দারবিশ একসঙ্গে মিলিত হয়েছেন। দুজনই প্যালেস্টাইনের গল্পের পাতায় দুটি শক্তিশালী নাম।
ঠিক কী ঘটিয়েছিলেন মার্কিন বিমান বাহিনীর এই সদস্য। জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনীর পোশাকে ওয়াশিংটনে ইজরায়েলি দূতাবাসের বাইরে অ্যারন বুশনেল। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে জানান, গণহত্যার সঙ্গে তিনি জড়িত থাকতে চান না। এখানেই শেষ নয়। এরপর নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন তিনি। সেইসময়ই তিনি আবেদন জানান, প্যালেস্টানিয়দের মুক্তি চাই। এরপর বুশনেলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় প্যালেস্টাইন নাগরিকদের ওপর হামলা চালাতে শুরু করে ইজরায়েলি বাহিনী। এখনও পর্যন্ত ৩১ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।