আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে আগেই গণভোট নেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার ইউক্রেনের (Ukraine) চার প্রদেশ খেরসন ( Kherson), জাপোরিজ্জিয়া ( Zaporizhzhia), দোনেৎস্ক (Donetsk) ও লুহানস্ককে (Luhansk) রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা করলেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। চার প্রদেশ শাসনের জন্য প্রশাসক বসানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি। রুশ প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘চাসর প্রদেশের লক্ষ-লক্ষ মানুষ চেয়েছিলেন রাশিয়ার সঙ্গে থাকতে। তাঁদের সেই ইচ্ছাকে মর্যাদা দেওয়া হল।’ চার প্রদেশকে জোর করে দখল করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ( Ukraine President) ভোলদিমির জেলেনস্কি।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের (Ukraine) বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল রাশিয়া (Russia)। ওই অভিযানের শুরুতেই খেরসান, জাপোরিজ্জিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক দখল করে নেয় রুশ সেনা। কার্যত বিনা লড়াইতেই হার মেনেছিল ইউক্রেনীয় সেনা। রুশ বাহিনীর অধিকৃত চার প্রদেশ রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দিতে আগ্রহী কিনা তা নিয়ে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত জানতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর গণভোট নেওয়া হয়েছিল। গণভোটে রাশিয়ার নাগরিক হিসেবে থাকতে রাজি হয়েছেন ৯৬ শতাংশ বাসিন্দা।
গণভোটের পরেই স্পষ্ট হয়েছিল, ইউক্রেনের (Ukraine) চার প্রদেশকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে যুক্ত করবে রাশিয়া। এদিন শুক্রবার মস্কোর ক্রেমলিনের সেন্ট জর্জ হলে চার প্রদেশের নেতাদের সঙ্গে রাশিয়ায় যোগদান বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ওই ঐতিহাসিক ঘটনার যাতে সাক্ষী থাকতে পারেন রুশ নাগরিকরা তার জন্য মস্কোসহ ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে অসংখ্য বিলবোর্ডও স্থাপন করা হয়েছে। সেসব বিলবোর্ডে লেখা হয়েছে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জয়া, খেরসন রাশিয়া।