আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্ঘাত তুঙ্গে পৌঁছল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে বৃহস্পতিবার মস্কোতে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের উপ-রাষ্ট্রদূত বার্ট গরম্যানকে বহিষ্কার করেছে রাশিয়া। তবে কী কারণে গরম্যানকে বহিষ্কার করা হয়েছে তা নিয়ে রুশ বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা যেভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপের দেশগুলিকে খেপিয়ে তুলছে, তার বদলা নিতেই চরম পদক্ষেপ করেছে রুশ প্রশাসন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’ জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে বিশ্বের একাধিক দেশের শীর্ষ নেতারা রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সঙ্ঘাত বন্ধে উদ্যোগী হলেও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধংদেহি মনোভাবের কারণে তা ফলপ্রসূ হয়নি। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন নিয়ে তিনি এমন শর্ত রেখেছেন যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ন্যাটো জোটভুক্ত দেশের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ইউক্রেনে হামলা চালাবে রাশিয়া।
মুখে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর কথা বললেও যুদ্ধের সম্ভাবনা খারিজ করে দেননি ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের পরিস্থিতির অবনতি ঘটে সেখানে যে কোনও মুহুর্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে ইউক্রেনের ডনবাসে যে ধরনের গণহত্যা চলছে তা মুখ বুজে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। রাশিয়া যুদ্ধ চায় না বটে, কিন্তু আক্রমণ চালানো হলে যোগ্য জবাব দিতেও পিছু হঠবে না।’ এদিন ফের তিনি দাবি করেন, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রুশ সেনাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তবে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারে যে সময় লাগবে সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।