আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩ শো। বিগত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যায় গৃহহীন লক্ষাধিক।মানুষের পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে শতাধিক গবাদি পশুর। পাকিস্তানের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বিবৃতি অনুসারে, শনিবার পর্যন্ত তাদের হিসেব অনুযায়ী, সাত লক্ষের বেশি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে।আন্তর্জাতিক মহলের কাছে পাকিস্তান সরকার সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছে।
সে দেশের যোজনা এবং পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছে, বন্যা দুর্গতদের পাশে রয়েছে সরকার। সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াবার। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সাত লক্ষের বেশি পরিবার ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পেয়েছে। প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩ লক্ষ মানুষ।
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের অপেক্ষাকৃত নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি ও বেসরকারি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন পাঁচ লক্ষের বেশি মানুষ। অস্থায়ী ত্রাণ শিবির তৈরি হয়েছে বালোচিস্তান, খাইবার পাখতুনখাওয়া, সিন্ধু এবং পাক-পঞ্জাবে। বন্যা কবলিত এলাকা থেকে মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছ সেনা। হেলিকপ্টারের করে চলছে ত্রাণ বিতরণ।
শনিবার ফ্রান্সের একটি বিমান ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পাকিস্তানে অবতরণ করেছে। এই প্রথম ইসলামাবাদ প্রথম কোনও দেশ থেকে সাহায্য পেল। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে জীবদায়ী ওষুধ।