নিজস্ব প্রতিনিধি, লন্ডন: ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানো রাশিয়ার বিরুদ্ধে লাগাতার হুমকি ছাড়ছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। একাধিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি মস্কোকে সবক শেখাতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ঝাঁপানোর পক্ষপাতী। কিন্তু তাঁর সেই যুদ্ধংদেহি মনোভাবে জল ঢেলে দিলেন ব্রিটেনের সেনাপ্রধান অ্যাডমিরাল স্যর টনি রাডকিন। কট্টর রুশ বিরোধী হিসেবে পরিচিত সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে কোনওভাবেই যুদ্ধে জড়াতে চায় না ব্রিটিশ সেনা। ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ চান না। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ করার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মস্কোকে সবক শেখাতে প্রতিনিয়তই ইউরোপিয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি যুদ্ধ ঘোষণা করতে তাঁদের উসকে দিচ্ছেন বলে অভিযোগও উঠেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, পার্টি গেট কেলেঙ্কারিতে যাতে প্রধানমন্ত্রীর পদ না যায়, তা সুনিশ্চিত করতেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপাতে চাইছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু তাঁর সেই অভিসন্ধির অংশীদার হতে নারাজ ব্রিটেনের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অ্যাডমিরাল স্যর টনি রাডকিন। ‘বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘ইউরোপ, ইউক্রেন ও সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা ভেবে আমরা চাইছি যুদ্ধ যেন আরও তীব্র না হয়। ইউক্রেনকে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হচ্ছে না, তার কারণ আমরা চাই না, ন্যাটো আর রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যাক। নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হলে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে ন্যাটো।’
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে রুশ সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বলে স্বীকার করে নিয়েছেন ব্রিটিশ সেনাপ্রধান। তবে রুশ সেনাপ্রধান এখনও বৈঠক নিয়ে কোনও ইতিবাচক বার্তা পাঠাননি বলে জানিয়েছেন স্যর টনি রাডকিন।