নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি আইপিএল-এ বুধবার নিজেদের ঘরের মাঠে দিল্লির কাছে ১৫ রানে হার মানল পাঞ্জাব। দিল্লির হয়ে ব্যাট হাতে দুরন্ত খেলেন রসো। ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্যদিকে পাঞ্জাবের হয়ে লিভিংস্টোন করলেন ৯৪ রান। তবুও ম্যাচটা হারতে হল পাঞ্জাবকে।
দিল্লি ক্যাপিটাল-এর কাছে এই ম্যাচটার গুরুত্ব না থাকলেও পাঞ্জাবের কাছে গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। কিন্তু ম্যাচটা যে রিকি পন্টিং-এর দল হালকাভাবে নেয়নি তার প্রমাণ পাওয়া গেল ব্যাটিং দেখেই।
মোহালির পিচ সাধারণত ব্যাটারদের ফেভারিটই হয়ে থাকে। তার ব্যতিক্রম হল না বুধবারের ম্যাচেও। প্রথমে টসে জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠান পাঞ্জাব অধিনায়ক। তাঁর একটাই উদ্দেশ্য ছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিল্লির ব্যাটারদের আউট করে বড় ব্যবধান নিয়ে ম্যাচটা জিতে যাওয়া। কিন্তু শিখর যেটা চেয়েছিলেন তা হল না। হল ঠিক উল্টো।
ডেভিড ওয়ার্নার থেকে শুরু করে পৃথ্বি শ সকলেই যেন তাঁদের কাছে গুরুত্বহীন একটা ম্যাচে নিজেদের সেরাটাই দিয়ে দিলেন। ওয়ার্নার করলেন ৩১ বলে ৪৬, পৃখ্বিশ শ ৩৮ বলে ৫৪ এবং রসো করলেন ৩৭ বলে ৮২ (অপরাজিত) রান। এই তিনজনের জন্যই ২০ ওভারে ২১৩ রানে পৌঁছে পাঞ্জাবকে চাপে ফেলে দিলেন দিল্লির ত্রয়ী ব্যাটাররা। গ্যালারিতে বসে তখন হয়তো হাত কামড়াচ্ছেন রিকি পন্টিং-সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা। সত্যিই তো এই পারফরম্যান্স যদি টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই করতে পারা যেত তাহলে হয়তো আজকে আইপিএল খেকে বিদায় নেওয়ার বদলে প্লে-অফ নিয়ে চিন্তা করতে হত তাঁদের।
দিল্লির ২১৪ রানের টার্গেট দেখে পাঞ্জাব যে চাপে পড়ে গিয়েছিল তা বোঝা গেল ব্যাটিং-এর শুরুতেই। দলনায়ক শিখর কোনও রান না করেই ফিরলেন সাজঘরে। তার কিছুক্ষণ পরেই একই পথের পথিক হলেন আগের ম্যাচে শতরান করা প্রভিশিমরন সিং।
এপর দলের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়ে দলকে টানতে থাকেন টাইডে আর লিভিংস্টোন। দুজনে মিলে যোগ করেন ১১৩ রান। এরপর টাইডে মাঠ ছাড়তেই সেই চাপ আরও চেপে বসে পঞ্চনদের দলটির ওপর। কিন্তু সেই সময় একে একে সব ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেলও একা কুম্ভকে রক্ষা করার মতো লড়াই করেছিলেন লিভিংস্টোন। ৪৮ বলে ৯৪ রান করেও দলকে হারের হাত থেকে বাঁচাতে পারলেন না এই ব্যাটসম্যান। প্রথম ম্যাচে হারের মধুর বদলা বুধবার দিল্লি নিয়ে নিল পাঞ্জাবের ঘরের মাটিতে।
ম্যাচ হেরে কার্যত প্লে-অফে যাওয়ার রাস্তা আরও কঠিন করে ফেললো পাঞ্জাব। এখন তাঁদের শেষ ম্যাচে শুধু জিতলেই হবে না, সেই সঙ্গে লাগবে ভাগ্যের সহায়তাও। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত ভাগ্যদেবী সহায় হন কি না পাঞ্জাবের ওপর, নাকি বিমুখ করে ফিরিয়েই দেন, তা সময় হলেই দেখা যাবে।