নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি আইপিএল-এ রবিবার দুটো ম্যাচেই যেন ঘটল অঘটন। প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরুর থেকে ধারে ও ভারে কিছুটা এগিয়ে থাকা রাজস্থান রয়্যালস হারল ১১২
রানে। আর দ্বিতীয় ম্যাচে আন্ডারডগ হিসেবে নাইটরা চেন্নাই-এর ঘরের মাঠে ধোনির দলকে হারাল ৬ উইকেটে। নাইটদের জয়ের মূল কারিগর হলেন অধিনায়ক নীতিশ রানা এবং রিঙ্কু সিং।
রবিবার নাইটদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে বড় রানের টার্গেট খাড়া করতে গিয়ে কার্যত বিপদেই পড়ল চেন্নাই। এ যেন এক অচেনা ধোনি বাহিনী। দিনটা যে ভালো যাবে না তা হয়তো বোঝা গিয়েছিল ঋতুরাজ এবং কনওয়ে রান না পাওয়ায়। ঋতুরাজ এই ম্যাচেও ব্যর্থ হলেন। প্রথম দিকের সেই চেনা ছন্দে এখন আর তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। যা কিন্তু চিন্তায় রাখছে ধোনির দলকে। ১৭ রানে রবিবার বরুণ চক্রবর্তীর বলে ফিরে গেলেন তিনি।
চেন্নাই-এর পতনের ধ্বসটা এখান থেকেই শুরু হল। একে একে সাজঘরে ফিরতে লাগলেন অজিঙ্কা রাহানে, অম্বিকা রায়ডুরা। তবু এরই মাঝে কনওয়ে ৩০ ও শিভম দুবে ৪৮ এবং রবীন্দ্র জাদেজা ২০ রান না করলে চেন্নাই হয়তো ১০০ রানের গণ্ডিও পার করতে পারত না। যাক তা আর হয়নি। শিভম, জাদেজা ও কনওয়ের কাঁধে চড়ে নাইটদের বিরুদ্ধে ১৪৪ রান করে ধোনির দল।
এরপর চেন্নাইকে এত অল্প রানে আটকে রেখেও নাইটদেরও শুরুটা একবারেই ভালো হয়নি। দুই ওপেনার জেসন রয় গুরবাজ মিলে করলেন ১৩ রান। তারপর তাঁদের ঠিকানা হল সাজঘরে। ব্যর্থ হলেন ভেঙ্কটেশও।
কিন্তু হাতের কাছে যখন সুযোগ পাওয়া গিয়েছে চেন্নাইকে হারবার, কাজেই সেই সুযোগ সহজে হাতছাড়া করা যাবে না। এই মন্ত্র মাথায় রেখেই অধিনায়ক নীতিশ রানাকে সঙ্গে নিয়ে আবার শুরু হল সেই সাইক্লোন। না এই সাইক্লোন মায়ানমার বা বাংলাদেশের কক্সবাজারে আছড়ে পরা মোচা নয়, এই সাইক্লোন ক্রিকেটের ২২ গজে আছড়ে পরা রিঙ্কু নামক এক তরুণ ব্যাটারের ঝড়ো ইনিংস।
ম্যাচের আগে বেশকিছু নাইট সমর্থক সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তাঁরা লেখেন, রিঙ্কু খেলেগা তো হামলোগ জিতেগা। অর নেহি খেল পায়েগা তো হামলোগ ম্যাচ জিতেগা নেই। তাঁদের কথাটা একদমই মিলে গেল রবিবার সন্ধ্যায়। রিঙ্কুই তো বর্তমানে নাইটদের কাছে মুশিকল কি আসান। ৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে নিলেন রিঙ্কু। এরপর রিঙ্কুর মতো নীতিশও পূর্ণ করেন অর্ধ্বশতরান।
সবাই যখন মনে করছিলেন যে এই দুজনেই শেষ পর্যন্ত হয়তো নাইটদের ম্যাচ জিতিয়েই সাজঘরে ফিরবেন, কিন্তু তা আর হল না। ব্যক্তিগত ৫৪ রানে রিঙ্কু রান আউট হন। এরপর নীতিশ ৫৭ রানে ও রাসেল ২ রানে অপরাজিত থেকে নাইটদের হয়ে জয় হাসিল করেন।