নিজস্ব প্রতিনিধি: দুটো দলের কাছেই মঙ্গলবারের ম্যাচটা ছিল একপ্রকার ডু-অর ডাই। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচে বাজিমাত করল রোহিত শর্মার দল। তাঁরা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারাল ১৪ রানে। এই নিয়ে টানা দুটি ম্যাচে জয় পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
মার্করামের দলের বিপক্ষে মঙ্গলবার ম্যাচের শুরুটা ব্যাট হাতে খুব একটা মন্দ করেননি মুম্বই দলের অধিনায়ক রোহিত ও তাঁর সহযোগী ইষাণ। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আসলে রোহিত দীর্ঘদিন অফ ফর্মে। কাজেই ফর্মে ফেরার একটা আপ্রাণ চেষ্টা হয়তো হিটম্যান করছেন, কিন্তু তাঁর কপাল তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছে না একদম। যেমন মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হল না। মাত্র ২৮ রানে রোহিতকে আউট হতে হল নটরাজনের বলে।
রোহিত আউট হলে মুম্বই দলের হাল ধরতে ক্রিজে আসেন ক্যামরন গ্রিন।আসলে মঙ্গলবার দিনটা হয়তো ছিল তাঁরই। ইষাণের সঙ্গ জুটি তৈরি করে দিব্য টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন দলের রানকে। কিন্তু মাঝপথে আবার ছন্দপতন ঘটল ইষাণ ৩৮ রানের মাথায় জানসেনের বলে মার্করামের হাতে ধরা পড়তেই।
মঙ্গলবারও মুম্বই দলের সূর্য উদয় হল না। আর কবেই বা সূর্য উদিত হবেন তা একমাত্র স্বয়ং ঈশ্বরই জানেন। মাত্র ৭ রান এল সূর্য কুমার যাদবের ব্যাট খেকে। সে যে এখন অতীতের ছায়া তা তাঁর প্রতিটা ম্যাচের পারফরম্যান্স থেকেই স্পষ্ট।
সূর্য অস্তমিত হতেই নবাগত তিলক ভার্মাকে সঙ্গী করে দলকে টানতে লাগলেন ক্যামরন। মাত্র ১৭ বলে ৩৭ রান এল তিলকের ব্যাট থেকে। তার মধ্যে দুটি বাউন্ডারি এবং চারটি ওভার বাউন্ডারি। তিলক যদি আর কিছুক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারতেন তাহলে হয়তো মুম্বই ২০০ বেশি রানের টার্গেট খাড়া করতে পারত সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সামনে। কিন্তু তা আর হল না। শেষ অবধি ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রানেই থামতে হল রোহিত অ্যান্ড ব্রিগেডকে।
১৯৬ রান টার্গেট ছন্দে থাকা কোনও দলের কাছে খুব একটা আহামরি নয়। কিন্তু বর্তমানে হায়দরাবাদ দলের যা ব্যাটিং লাইন আপের পারফরম্যান্স তাতে তা আহামরিই বটে। যে দলে দলনেতা মার্করাম ছাড়া আর কোনও ব্যাটারেরই ধারাবাহিকতা নেই সেই দল যে প্রতিটি ম্যাচেই বিপদের সম্মুখীন হবে এটাই স্বাভাবিক। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হল না।
নাইটদের বিরুদ্ধে ছন্দে থাকা ব্রুক এদিন পুরোপুরি ব্যর্থ। তাঁর ব্যাট থেকে এল মাত্র ৯ রান। দক্ষিণের দলটির হয়ে একমাত্র মায়াঙ্ক করলেন ৪১ বলে ৪৮ রান। মায়াঙ্কের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করলেন ক্লাসেন। ব্যর্থের তালিকায় রয়েছেন দলনেতা মার্করামও। শেষপর্যন্ত হায়দরাবাদের ইনিংস শেষ হয় ১৭৫ রানে।
মুম্বই বোলারদের মধ্যে ভেনড্রফ, পীযূষ চাওলা ও মেরিডিথ দুটি করে উইকেট নেন। এই ম্যাচে জয়ের ফলে মুম্বই উঠে এল পাঁচ নম্বর স্থানে।