নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘরের মাঠে পাঞ্জাবকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথম ম্যাচের হারের মধুর বদলা নিল নীতিশ রানার কলকাতা নাইট রাইডার্স। শেষ বেলায় নাইটদের হয়ে দূরন্ত ব্যাট করলেন আন্দ্রে রাসেল। ২৩ বলে ৪২ রানের জোরেই ইডেনে পাঞ্জাবকে ধরাশায়ী করল নাইট বাহিনী।
ইডেনে সোমবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব দলের শুরুটা খুব খারাপ হল। তরুণ প্রভুশরণ সিং মাত্র ১২ রানে সাজঘরে ফিরলেন। তখন মনে হচ্ছিল যে এবার পুরো চাপটাই এসে পড়বে ছোটা গব্বরের ওপর। হলও তাই। তিনিই তো পাঞ্জাব দল কা শের। তা ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন শিখর। প্রভুশরণ-এর পর আর এক ব্যাটার রাজাপক্ষও ফিরলেন শূণ্য রানে। নাইটদের হয়ে বল হাতে পাঞ্জাবকে ধাক্কা দেওয়ার কাজটা শুরু করেছিলেন হরসিৎ রানা।
দলের এই কঠিন অবস্থাতেও যে দমবার পাত্র শিখর নন, নিজের কাঁধে একা লড়াই করে পাঞ্জাব দলনেতা করলেন ৫৭ রান। এটিই পাঞ্জাব দলের সর্বোচ্চ রান। বাকিরা করলেন কেউ ১৫, কেউ ২১ কেউবা ১৯ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে শেষ পর্যন্ত ধাওয়ান বাহিনী ১৮০ রানের টার্গেট খাড়া করে নাইটদের বিরুদ্ধে।
প্লে অফে জেতে গেলে এখন প্রত্যেকটা ম্যাচ-ই নীতিশদের কাছে ডু-অর ডাই। কাজেই জেতা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। ১৮০ রান খুব একটা সহজসাধ্য রান নয়। তাই শুরু থেকেই দুই নাইট ওপেনার সতর্কভাবেই রান তাড়া করতে থাকেন। তবে নাইট ব্যাটারদের যে ধারাবাহিকতার খুব অভাব তা ফের সোমবারের ম্যাচেও বোঝা গেল। মাত্র ১৫ রান করে গুরবাজ ফিরে গেলেন প্যাভেলিয়নে। জেসন রয়-এর সঙ্গে জুটি বাঁধলেন দলনেতা নীতিশ।
এই জুটিই ভরসা জোগাচ্ছিল নাইটদের। ব্যক্তিগত হরপ্রিৎ বারার-এর বলে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই ব্রিটিশ ব্যাটারকে থামিয়ে দিলেন এই পাঞ্জাব বোলার। শিখরের মতো অর্ধ্বশতরান পূর্ণ করে দলকে একটা ভালো জায়গায় পৌঁছে দিলেন নীতিশ। ব্যক্তিগত ৫১ রানে তাঁকে ফেরালেন রাহুল চাহার। কিন্তু শেষ বেলায় রিঙ্কু ও রাসেল-এর জুটিই ম্যাচে জয়ের মুখ দেখাল নাইটদের।
ঘরের মাঠে ব্যর্থ হলেন ভেঙ্কটেশ। দলের প্রয়োজনে তাঁর ভূমিকা নিয়ে ইডেনের গ্যালারিতে উপস্থিত নাইট দর্শকদের কেউ কেউ বলতে লাগলেন, এবার ভেঙ্কিকে একটা ম্যাচ বসিয়ে দেওয়া উচিত।
এই পরিস্থিতিতে ম্যাচ যখন ক্রমশ জটিল হচ্ছে ঠিক সেই সময় ক্রিজে উপস্থিত দুই পিঞ্চ হিটার আন্দ্রে রাসেল এবং রিঙ্কু সিং। উত্তাল গ্যালারি, নাইট সমর্থকদের দিকে একবার হাত নেড়ে দুই ব্যাটারই বুঝিয়ে দিলেন লড়াই করে ম্যাচ জিততে এসেছি, লড়াই করেই জিতলাম।