এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কাজে ফাঁকি দিলেই এবার ১০ হাজার টাকা জরিমানা

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের(West Bengal State Government Employees) একাংশ কেন্দ্রের হারে মহার্ঘ্য ভাতা(DA) দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে চলেছেন। সেই আন্দোলনের জেরে দেখা যাচ্ছে এক শ্রেনীর কর্মচারীরা অফিসে নামমাত্র উপস্থিতি দিচ্ছেন। কার্যত তাঁরা কোনও কাজই করছেন না। আন্দোলনের কথা বলে তাঁরা আদতে কাজে ফাঁকি মেরে বেড়াচ্ছেন। এই নিয়ে রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক স্তরে অভিযোগ গিয়েছে। এবার এই সব কর্মচারীদের ক্ষেত্রেই কড়া পদক্ষেপ করছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। আর এই ক্ষেত্রেই সরকার(West Bengal State Government) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সব কর্মচারীরা কাজে ফাঁকি মেরে বেড়াচ্ছেন তাঁদের এবার আর্থিক ভাবে জরিমানা(Financial Penalty) করা হবে। সেই জরিমানার পরিমাণ হবে ১০ হাজার টাকা।

বাম জমানায় রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশের মনোভাব ছিল ‘আসি যাই মাইনে পাই’। সেখানে কাজ করার মানসিকতাটাই ছিল না। এই ছবিটা বদলাতেই কড়া পদক্ষেপ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ২০১৩ সালে জনপরিষেবা আইনের মাধ্যমে রাজ্যের সব দফতরে কাজের জন্য আসা সাধারন মানুষের হয়রানি ঠেকাতে নিয়ম করেন যে কর্মক্ষেত্রে কোনও কর্মীর গাফিলতি ধরা পড়লে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এখন সেই আইনকেই আরও কড়া করে জরিমানার পরিমাণ ১০ হাজার টাকা করা হচ্ছে। এর জন্য বর্তমান জন-পরিষেবা অধিকার আইনে একাধিক বদল বা সংশোধনী আনার তোড়জোড় শুরু করেছে মমতার প্রশাসন।

চলতি আইন অনুযায়ী, কোনও সরকারি দফতর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা না দিতে পারলে তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ জানাতে পারেন। সেখানে সুরাহা না পেলে জানাতে হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। সেক্ষেত্রেও কোনও সমাধান না মিললে আরও পর মহলে অভিযোগের সুযোগ রয়েছে। সুদীর্ঘ এই প্রক্রিয়াতেই বদল আনতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। সূত্রের খবর, ভুক্তভোগী নাগরিক প্রথমবার অভিযোগ জানিয়ে সুরাহা না পেলে যাতে সরাসরি জন-পরিষেবা অধিকার কমিশনে অভিযোগ জানাতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রথমবার অভিযোগ জানিয়ে সমাধান না হলে এবার সরাসরি কমিশনই হস্তক্ষেপ করতে পারবে।

আগে এই কমিশন কেবল উপদেষ্টা বা নজরদার হিসেবে কাজ করত। প্রস্তাবিত আইনে তাদের প্রশাসনিক ও আইনি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়ার সংস্থানও থাকছে। অর্থাৎ, দ্বিতীয়বার আবেদন করতে হলে কোনও সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিক নয়, অভিযোগ জানানো যাবে সরাসরি কমিশনেই। তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এর জন্য কমিশন নতুন করে আইনি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে চলেছে বলে খবর।

সরকারের যেসব দফতরের সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থ সরাসরি জড়িত, জন-পরিষেবা অধিকার আইনে সেগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যেমন রেশন কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম -মৃত্যুর শংসাপত্র, জমির মিউটেশন ইত্যাদি পরিষেবা এই আইনের আওতাধীন। আধিকারিক ও কর্মীরা এসব পরিষেবা দিতে সর্বোচ্চ কতদিন সময় নিতে পারেন, সেই হিসেব চাওয়া হয় দফতরগুলি থেকে। সেই তথ্য সামনে রেখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দফতরগুলি। এই আইনের আওতায় রয়েছে রাজ্যের সব পুরসভা এবং পঞ্চায়েত দফতরের আওতাধীন সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতও। আইন যথাযথভাবে কার্যকর হচ্ছে কি না, তা দেখভালের জন্যই গড়া হয়েছিল জন-পরিষেবা অধিকার কমিশন। তাদের হাতে আরও বাড়তি ক্ষমতা দিয়ে সরকারি কাজে গতি আনতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

হাইকোর্টেই বিক্ষোভের মুখে বিকাশ, শুনলেন ‘চাকরিখেকো’ শ্লোগান

কেন্দ্রের সরকারই থাকবে কিনা সন্দেহ, আবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা, হাসছে তামাম বাংলা

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যাব-ট্যাক্সির ভাড়া, সমস্যায় যাত্রীরা

মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে মামলা প্রত্যাহার, ট্যুইট করে দাবি কুণালের

বাংলার মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর