এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিজেপির মুখে ঝামা ঘষে কলকাতাই দেশের সেরা নিরাপদ নগরী

নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গ বিজেপির(BJP) নেতাদের পাশাপাশি মাসে মাসে উড়ে আসা মরশুমি গেরুয়া নেতাদের মুখে কার্যত ঝামা ঘষে দিল মোদি সরকারের(Modi Government) রিপোর্ট। সব মিথ্যাচার, অপপ্রচার, কুৎসাকে ধাক্কা দিয়ে পর পর দুই বছর কলকাতা(Kolkata) ফের দেশের সব থেকে নিরাপদ নগরী হিসাবে উঠে এল। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো বা এনসিআরবি(NCRB)-র রিপোর্ট বলছে, ২০২১ সালে দেশের বড় বড় শহরগুলির মধ্যে সব থেকে নিরাপদ শহর হিসাবে উঠে এসেছে কলকাতা। এর আগে ২০২০ সালেও এই তকমা পেয়েছিল এই শহর। এনসিআরবির রিপোর্ট বলছে, কলকাতার প্রতি ১ লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে দেশের বাকি শহরের তুলনায় সব থেকে কম অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। এর ভিত্তিতেই সব থেকে নিরাপদ শহরের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে কলকাতার নাম। আর তাতেই কার্যত মুখ পুড়ছে পদ্মশিবিরের নেতাদের।

২০২০ এবং ২০২১ ছাড়াও ২০১৮ সালেও দেশের সব থেকে নিরাপদ শহর হওয়ার মুকুট উঠেছিল কলকাতার মাথায়। ব্যতিক্রম ঘটেছিল ২০১৯ সালে। এনসিআরবির রিপোর্টে দাবি, ২০১৯ সালে কলকাতার তথ্য তাদের কাছে এসে পৌঁছয়নি। তাই সেই বছর কলকাতার বুকে অপরাধের ঘটনা তাঁদের জানা নেই। কিন্তু গত চার বছরের মধ্যে তিন বারই প্রথম স্থানে রয়েছে কলকাতা। তাই ২০১৯ সালের রিপোর্ট হাতে না এলেও সেই বছরও যে কলকাতার নিরাপত্তার ছবি খুব একটা বদলে যেত না সেটাও মানছেন এনসিআরবি’র কর্তারা। তাঁদের রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতায় প্রতি লক্ষ মানুষে নথিভুক্ত অপরাধ ১০৩.৪। এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় আরও কমেছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১২৯.৫। ২০২১-এর তালিকায় কলকাতার পরই ঠাঁই হয়েছে পুণের। এক লক্ষ মানুষের মধ্যে পুণে শহরে নথিভুক্ত অপরাধের সংখ্যা ২৫৬.৮। পুণের পর যথাক্রমে রয়েছে হয়দরাবাদ (২৫৯.৯), কানপুর (৩৩৬.৫), বেঙ্গালুরু (৪২৭.২) এবং মুম্বই (৪২৮.৪)।

ভারতের যে বড় শহরগুলির জনসংখ্যা ২০ লক্ষেরও বেশি, একমাত্র সেই শহরগুলির তথ্যের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট বানায় এনসিআরবি। তাঁদের রিপোর্ট এ-ও বলছে, কলকাতার বুকে অপরাধের হারও কমেছে। ২০১৬ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছরই কলকাতায় অপরাধ একটু একটু করে কমেছে। ২০১৬ সালে কলকাতায় অপরাধ ছিল প্রতি লক্ষে ১৫৯.৬। ২০১৭ সালে তা কমে হয় ১৪১.২। কলকাতার অপরাধ আরও কমে ২০১৮ এবং ২০২০ সালে। সেই দুই বছরে কলকাতায় অপরাধের হার ছিল যথাক্রমে ১৩৯.৫ এবং ১০৯.৯। ২০২১ সালে মহানগরীর অপরাধের হার ১০০-রও নীচে নেমেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, গত বছরে কলকাতায় অপরাধের হার ৯২.৬। আর এখানেই দেশের বেশির ভাগ অর্থনীতিবিদদের দাবি, এই ছবি বদলের মূলে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সুশাসন এবং তাঁর সরকারের চালু করা হরেক আর্থসামাজিক প্রকল্প যা সমাজের নীচুতলার মানুষদের মধ্যে একধরনের মানসিক সুরক্ষা এনে দিয়েছে। সাধারণত এই শ্রেনীর মানুষ এই ধরনের সুরক্ষা না পেলেই অপরাধের পথে হাঁটা দেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই রাস্তাটাই বন্ধ করে দিয়েছে একগুচ্ছের আর্থসামাজিক প্রকল্প চালু করে।

এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সাত বছর ধরে কলকাতার অপরাধের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। ২০২০ সালে কলকাতায় মোট নথিভুক্ত অপরাধের মামলা ছিল ১৮ হাজার ২৭৭টি। ২০২১ সালে তা কমে হয়েছে ১৪ হাজার ৫৯১। ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৬ হাজার ১৬১। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানিয়েছেন, কলকাতা পুলিশের কঠোর পরিশ্রম এবং কলকাতার জনগণের সক্রিয় সমর্থনের জন্যই এটি সম্ভব হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালে কলকাতায় মোট ১১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যা বাকি শহরগুলির মধ্যে সব থেকে কম। সব থেকে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে দিল্লিতে, ১১২৬টি। গত এক বছরে কলকাতায় খুনের ঘটনা ঘটেছে ৪৫টি। পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ১৭৯ জন। পথ দুর্ঘটনাতেও সব থেকে বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন দেশের রাজধানীতে। দিল্লিতে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১,১৭৮ জন। কলকাতায় গত বছরে নারী নির্যাতনের ১২৭টি ঘটনা ঘটেছে। নারী নির্যাতনের অপরাধের ক্ষেত্রেও তালিকার প্রথমে দিল্লির নাম আছে। গত এক বছরে দিল্লিতে নারী নির্যাতনের ১,০২৩টি ঘটনা ঘটেছে। তবে কলকাতায় গত এক বছরে ৩৪৬টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে, যা বাকি অনেক শহরের তুলনায় বেশি।

কেন্দ্রীয় রিপোর্টে সব থেকে নিরাপদ শহরের তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করা নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করা হয়েছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকারের পক্ষ থেকেও। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি টুইটে বলা হয়েছে, ‘এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নিয়ে টানা দু’বছর কলকাতা দেশের সব থেকে নিরাপদ শহর। এটি কেবল মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নজরদারি এবং পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই সম্ভব হয়েছে। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর অনেক কিছু শেখার আছে।’ পাশাপাশি টুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে সেই টুইটের লক্ষ্য দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই টুইটে অভিষেক লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে দু’টি কাজ রয়েছে। বাড়িতে ছেলেকে জাতীয়তাবাদ শেখানো ও তাঁর মন্ত্রকের অধীনে পুলিশকে সাজানো। দিল্লিতে অপরাধের হার আমাদের সকলকে হতবাক করেছে। ইডির সঙ্গে পুতুল খেলার বদলে বাংলার শাসনব্যবস্থা থেকে শিক্ষা নিন। ওঁর শিক্ষা নেওয়া উচিত।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনছেন না কেন, রাজ্যপালকে নিশানা অভিষেকের

বিজেপির বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের

বঙ্গে তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটে ঘনিয়ে আসছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সর্তকতা জারি

সন্দেশখালি নিয়ে ট্যুইট মমতার, নিশানায় বিজেপি, তোপ অভিষেকেরও

শ্লীলতাহানিকাণ্ডে রাজভবনের কাছ থেকে  সিসিটিভি ফুটেজ চাইল লালবাজার  

RERA’র নির্দেশে সুদে আসলে ২১ লক্ষ টাকা ফেরত পেলেন বৃদ্ধ দম্পতি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর