এই মুহূর্তে




গ্রেফতার সন্দেশখালির অজিত মাইতি, বিপাকে বিধায়ক অজিত মাইতি

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: এক অজিতের গ্রেফতারিতে মুখ পুড়ছে অপর অজিতের। কেননা দুইজনের পদবিও এক। মুখের মিলও আছে। আর তাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে দুইজনেরই মুখ। একজন দোষ করে গাল খাচ্ছেন, অপরজন কোনও দোষ না করে গাল খাচ্ছেন। নজরে অজিত মাইতি। একজনের বাস উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali), অপরজনের বাস পশ্চিম মেদিনীপুরে(Paschim Midnapur)। প্রথমজন, ছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি(TMC Leader) যিনি গ্রেফতার হয়েছে এদিন ভোরেই, অপরজন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা(Pingla) বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক(TMC MLA)। শেষেরজন এখন দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। অথচ সন্দেশখালির অজিত মাইতিকে আক্রমণ বানাতে দেদার ভাবে বিধায়ক অজিত মাইতির ছবি যেমন ব্যবহার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে তেমনি, তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলকে ট্যাগ করে গালগালাজ করা হচ্ছে। আর সব দেখে শেষে হাসপাতালের বিছানা থেকেই নিজের ছবি ও বার্তা দিলেন বিধায়ক অজিত মাইতি(Ajit Maity)। জানালেন, ‘আমি গ্রেফতার হওয়া তো দূরের কথা, আমি কোনও সন্দেশখালি যাইনি।’

সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্য রাজনীতি এখন সরগরম অজিত মাইতিকে ঘিরে। রবিবার তাঁকে নিয়েই উত্তপ্ত ছিল সন্দেশখালির বেড়মজুর গ্রাম। তিনি গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে অন্য এক জনের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন। সেখান থেকে পুলিশ তাঁকে আটক করে মিনাখাঁ থানায় নিয়ে যায়। সারারাত তাঁকে থানাতেই জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। সোমবার সকালে করা হয় গ্রেফতার। এদিনই তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে। আদালতে তোলার আগে তাঁকে মেডিকেল চেকআপের জন্য মিনাখাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গতকাল সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। তাঁরা বেড়মজুরের একটি হরিনাম সংকীর্তনের আসরে ছিলেন। সেখানেই অজিতকে দেখে তাড়া করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। তাড়া খেয়ে নিকটবর্তী একটি বাড়ির দরজা খোলা পেয়ে সেখানে ঢুকে পড়েন অজিত। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। ওই বাড়ির মালিক সেই মুহূর্তে বাইরে ছিলেন। অজিত তাঁকেও বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না বলেও অভিযোগ।

অজিতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেড়মজুরে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বাড়ির ভিতরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। বাইরে তাঁকে ধরতে জড়ো হয়েছিলেন মারমুখী গ্রামবাসীরা। বাড়ির মালিক দরজার সামনেই ছিলেন, ভিতরে ঢুকতে পারছিলেন না। তিনি জানান, তিনি স্নান করতে বেরিয়েছিলেন। তাঁর নিমন্ত্রণ আছে। স্নান সেরে পোশাকটুকুও পরতে পারছেন না। খবর পেয়ে আসে পুলিশ। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে অন্যের বাড়িতে আটকে থাকার পর অজিতকে অন্ধকারে ঘুপচি গলি দিয়ে বার করে গাড়িতে তোলে পুলিশ। অজিতের বিরুদ্ধে এলাকায় অত্য়াচার, জমি জবরদখলের মতো অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তিনি শাহজাহান শেখের ভাই সিরাজউদ্দীনের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। এক সময়ে নাকি গ্রামবাসীদের চমকে-ধমকে বেড়িয়েছেন। তাঁর গ্রেফতারির আগেই অবশ্য মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানিয়ে দেন, দল অজিতের পাশে নেই। তাঁর পদও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিধাননগরের ময়লা ফেলার জন্য পাথরঘাটায় নতুন ডাম্পিং স্টেশন হবে, ঘোষণা ফিরহাদের

দিঘায় মমতার উদ্যোগে জগন্নাথ মন্দির তৈরিকে স্বাগত অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার

‘এক দেশ, এক ভোট মানব না’ ফের হুঙ্কার মমতার

পাইকারি বাজারে আলুর দাম কমলেও মানিকতলা বাজারে বেশি দামে বিকোচ্ছে কাঁচামাল

ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি, নতুন তারিখ কবে?

লাগামছাড়া গতিতে ‘রেড অ্যালার্ট’, রেষারেষি রুখতে ‘চাবিকাঠি’ থাকছে পরিবহণ দফতরের হাতে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর