নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পরে পরেই বদল ঘটানো হয় বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে। দিলীপ ঘোষকে(Dilip Ghosh) সরিয়ে সেই পদে আনা হয় সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar)। যদিও এই পরিবর্তন ঘটে অস্থায়ী ভাবে। দিলীপ ছিলেন বঙ্গ বিজেপির(BJP) সাংগাঠনিক নির্বাচিত সভাপতি। সুকান্ত সেখানে মনোনীত। কার্যত তিনি এখন কার্যনির্বাহী সভাপতি ভিন্ন কিছুই নন। কিন্তু সুকান্তের সিদ্ধান্ত, কার্যকলাপ ও বক্তব্য নিয়ে এখন দলের অন্দরেই জোর কোন্দল বেড়েছে। একই সঙ্গে বঙ্গ(Bengal) বিজেপির নীচুতলার কর্মীদের মধ্যেও সুকান্তকে ঘিরে ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। এই অবস্থায় দলের নীচুতলার কর্মীদের মধ্যেই দাবি উঠেছে সুকান্তকে সরিয়ে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি করা হোক দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়(Locket Chatterjee)। কারণ শনিবার দলের যে চিন্তন বৈঠক বসেছিল সেখানেই দলের রাজ্য নেতৃত্বকে যেভাবে আক্রমণ শানিয়েছেন লকেট তা বেশ পছন্দ হয়েছে দলের নীচুতলার কর্মীদের। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তাঁরা ‘ভিজে বেড়াল’ সুকান্তের জায়গায় এখন লকেটকেই চাইছেন।
বিজেপির নীচুতলার কর্মীদের বক্তব্য, সুকান্ত যেভাবে বঙ্গ বিজেপিকে পরিচালিত করছেন তাতে দলের কর্মীরাই কার্যত উদ্ধুদ্ধ হচ্ছেন না, সেখানে আমজনতা কীভাবে বিজেপিমুখো হবেন! রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে তাই লড়াই করতে এখন এমন একজনকে প্রয়োজন যিনি কিছুটা হলেও দিলীপ ঘোষের মতো ঝাঁঝালো আক্রমণ শানতে পারবেন ও প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে দলকে আন্দোলনমুখী করে তুলতে পারবেন। লকেটের মধ্যেই তাঁরা সেই ঝাঁঝ দেখতে পেয়েছেন। ঘটনাচক্রে সুকান্তের সঙ্গে লকেটের বিস্তর দূরত্ব থাকলেও দিলীপের সঙ্গে লকেটের কিছুটা হলেও নৈকট্য রয়েছে। তাই সুকান্তের জায়গায় লকেট এলে দিলীপ শিবিরও যে চাঙ্গা হয়ে উঠবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মোদি-শাহ ও নাড্ডাও চান লকেট বাংলায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিক। তবে সেই দায়িত্ব রাজ্য সভাপতির পদ হবে কিনা তা এখনই জোর গলায় কেউ বলতে পারছেন না। যদিও সম্ভাবনা থাকছে এখনই না হোক দলের নীচুতলার কর্মীদের দাবি মেনে সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমেই লকেটকে তুলে আনার।