এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

English Medium School-এ পড়াতেই হবে বাংলা

নিজস্ব প্রতিনিধি: কড়া এবং নজরকাড়া পদক্ষেপ। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) উপস্থিতি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে এবার থেকে রাজ্যের প্রতিটি English Medium School-এ পড়াতেই হবে বাংলা(Bengali)। সেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে থাকবে ইংরেজি এবং বাংলা। তৃতীয় ভাষা হিসাবে পড়াতে যাবে আঞ্চলিক ভাষা। এই আঞ্চলিক ভাষার হিসাবে থাকবে হিন্দি ও সাঁওতালি। রাজ্যে মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজ্যে থাকা সমস্ত English Medium School-এ তা শীঘ্রই নির্দেশিকা হিসাবে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যে স্কুল এই নিয়ম মানবে না তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে সেই স্কুলের অনুমোদন(Authorization) বাতিলও করে দিতে পারে রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)।

আরও পড়ুন বাংলায় শিশুদের অপুষ্টির হার ১০ মাসে কমল ৪ শতাংশ

কলকাতা সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা English Medium School-গুলিতে দীর্ঘদিন ধরেই বাংলা ভাষাকে অবহেলা করা, অপমান করা, তাচ্ছিল্য করা একটা রুটিনে পরিণত হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে English Medium School-গুলিতে বাংলা না পড়ানো একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সেখানে বাংলাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে একরকম জোর করেই পড়ানো হয় হিন্দি। সাম্প্রতিককালে আবার দেখা গিয়েছে বাংলায় থাকা একের পর এক দিল্লি বোর্ডের স্কুল বা কেন্দ্রীয় বোর্দের স্কুল প্রকাশ্যেই বাংলা ভাষা নিয়ে চূড়ান্ত অপমানজনক মন্তব্য করার পাশাপাশি বাংলাকে কার্যত কেটেছেঁটে ফেলে দিচ্ছে। ছাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই সব ঘটনা সামনে এসেছে এবং তার জেরে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা। এবার এই সব ঘটনা ঠেকাতে এবং বাংলা ভাষাকে তাঁর জায়গা ফিরিয়ে দিতে কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের সব English Medium School-গুলিতে এবার থেকে পড়াতেই হবে বাংলা, আর সেটাও প্রথম অথবা দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে। বাংলাকে উপেক্ষা করে কোনও ভাবেই হিন্দি ভাষাকে তুলে ধরা যাবে না।

আরও পড়ুন মমতায় আস্থা পাহাড়বাসীর, গুরুংয়ে অনাস্থা বিজেপির

তবে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত চট করে মানতে রাজি হবে না বাংলার নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা দিল্লি ও কেন্দ্রীয় বোর্ডের অধীনে থাকা স্কুলগুলি। তাঁরা এই নিয়ে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টে ও পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করবে। এর পিছনে মূলত ৩টি কারণ রয়েছে। প্রথম কারণ, এই স্কুলগুলির পঠনপাঠন চলে দিল্লি বোর্ড বা কেন্দ্রীয় বোর্ডের সিলেবাস মেনে। স্কুলগুলিতে পড়ুয়া ভর্তি থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োপগ সব ক্ষেত্রেই ওই সব বোর্ডের সিদ্ধান্তই লাগু হয়। রাজ্যের শিক্ষা দফতর বা স্কুল শিক্ষা দফতরের অধীনে এই সব স্কুল নয়, তাই রাজ্যও সরাসরি এই সব স্কুলগুলিতে এতদিন কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারত না। স্কুলগুলিও রাজ্য সরকারকে কার্যত পাত্তা দেয় না। সেই মনোভাব এক্ষেত্রেও দেখা যাবে। দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির সরকার একরকম জোর করে দেশের অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলির ওপর হিন্দি চাপিয়ে দিতে চায়। সেই চাপিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের মস্ত বড় হাতিয়ার এই English Medium School-গুলি। যেহেতু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এই স্কুলগুলিকে মদত দিয়ে চলে তাই এই রাজ্যের সিদ্ধান্ত চট করে মেনে নেবে না এই English Medium School-গুলি। তাঁরা মামলা দায়ের করবেই যা নিষ্পত্তি হতে হতে ৫-৬ বছর সময় নিয়ে নেবে। তৃতীয়ত, এই রাজ্যের English Medium School-গুলিতে অনেক হিন্দি বা অনান্য ভাষার পড়ুয়ারাও পড়ে। তাঁদের মাতৃভাষা বাংলা নয়। তাঁরা দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে কী ভাবে বাংলাকে মেনে নেবে সেটাও শিক্ষামহলের কাছে বড় প্রশ্ন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সন্দেশখালিকাণ্ডে CBI তদন্তের বিরোধিতা করে রাজ্যের মামলার সুপ্রিম শুনানি মুলতুবি

নাখোদা মসজিদের সামনে প্লাস্টিকের গুদামে আগুন

রাজ্যের মন্ত্রীদের PSO-দের ডিউটি পরিবর্তনের ভাবনা নবান্নের, নেপথ্যে কেষ্ট’র সায়গল

মানিকতলায় বহুতলে রবিবার রাতে ভয়ংকর আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন

ফুসফুসের মধ্যে নাকছাবির অংশ, বের করতে সফল চিকিৎসক

ভাঙড়ে রবিবার দুপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংস আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর