নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা(Kolkata) ও ব্যারাকপুরের(Barracpur) মধ্যে সড়ক পথে দ্রুত যোগাযোগ গড়ে তুলতেই নির্মাণ হয়েছিল Barracpur Trunk Road, যাকে অনেকেই BT Road বলেই বেশি চেনেন। কলকাতার শ্যামবাজারের মোড় থেকে ব্যারাকপুরের চিড়িয়ামোড় পর্যন্ত এই রাস্তার বিস্তার। বর্তমানে এই অংশে চার লেনের রাস্তা রয়েছে। কিন্তু এই রাস্তার দুই পাশে থাকা কলকাতার একাংশ ছাড়াও বরানগর, কামারহাটি, পানিহাটি, খড়দহ ও টিটাগড় পুরসভা এবং ব্যারাকপুর পুরসভার একাংশে জনবসতি ক্রমশই বেড়ে চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানবাহণের চাপও। সেই কারণেও ওই রাস্তায় দিনে বা সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে যানজট লেগেই থাকছে। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য BT Road ৪ লেনের রাস্তার জায়গায় ৬ লেনের রাস্তায়(6 Lane Road) রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে গোটা রাস্তাটি সংস্কার করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা। বড়দিনের(Christmas) পরে ২৬ জানুয়ারি থেকেই এই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
BT Road-এ যানজট এড়াতে এবং দ্রুত গতির যাতায়াতের জন্য আগেই ডানলপ থেকে সোদপুর অংশের রাস্তা চওড়া করা হয়েছে। এ বার সোদপুর ট্র্যাফিক মোড় থেকে ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড় পর্যন্ত অংশে নতুন করে রাস্তা চওড়া করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। প্রায় ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি মাসের ২৬ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে ডানলপ থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত বিটি রোডের বাকি অংশেও পিচ তুলে দিয়ে নতুন করে সংস্কার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।সোদপুর ট্র্যাফিক মোড় থেকে ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড় পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার বিস্তৃত BT Road। বর্তমানে এই অংশে ৪ লেনের রাস্তা রয়েছে। যে ভাবে BT Road’র ওপর গাড়ির চাপ বাড়ছে তাতে যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই অংশে।
জানা গিয়েছে, BT Road’র দুই পাশের রাস্তা ৪ মিটার করে চওড়া করে ৬ লেনের রাস্তা করা হবে। দুই অভিমুখেই সাড়ে ১১ মিটার করে রাস্তা চওড়া হবে। শুধু তাই নয়, ডানলপ থেকে সোদপুরের ধাঁচে রাস্তার মাঝের লোহার রেলিংয়ের ডিভাইডার সরিয়ে বুলেভার্ড ডিভাইডার করা হবে। যেখানে লাগানো হবে বিভিন্ন ধরনের গাছ। নির্দিষ্ট ওই অংশে নতুন করে আলোয় রাস্তা সাজানো হবে। সোদপুর থেকে ডানলপ অংশে BT Road চওড়া হলেও সোদপুর থেকে ব্যারাকপুরের অংশে চওড়া না হওয়ায় খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল এলাকাবাসীকে। যানজটের পাশাপাশি, রাস্তা সঙ্কুচিত হয়ে যাওয়ায় আকছার দুর্ঘটনাও ঘটছিল। রাস্তা চওড়া হলে যানজট সমস্যা যেমন কমবে, তেমনি দুর্ঘটনাতেও লাগাম টানা সম্ভব বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পথচলতি মানুষজন।