এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সরকারি চাকরি বংশগত অধিকার নয়, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের সরকারি কর্মীদের(West Bengal State Government Employees) মধ্যে কারও কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের কারও চাকরি পাওয়া নিয়ে এবার এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। চাকরি পাওয়ার অধিকার(Rights to get Government Service) নিয়ে একটি মামলার শুনাতিতে আদালত তার পর্যবেক্ষণ(Observation) তুলে ধরে জানায়, কর্মরত অবস্থায় সরকারি কর্মী বাবা-মায়ের মৃত্যু হলে তাদের সন্তান বা পরিবারের কারও চাকরি পাওয়া কোনও অধিকারের মধ্যে পড়ে না। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের পর্যবেক্ষণে আরও জানিয়েছে, Compassionate Appointments চাকরির মেধা ও তাঁর মান নষ্ট করে। সরকারী কর্মীর কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের কেউ বা তাঁর সন্তানের সরকারি চাকরি কোনও বংশগত অধিকার(Hereditary Rights) নয়, আসলে সহানুভূতির ভিত্তিতে এই চাকরি দেওয়া হয়।

জানা গিয়েছে, টার্জন ঘোষ নামের এক ব্যক্তি সরকারি চাকরির অধিকার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সম্প্রতি হাইকোর্টে শুনানির জন্য এই মামলা ওঠে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের এজলাসে। সেই মামলার শুনানিতেই কার্যত গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ উঠে আসে আদালতে। ২০০৭ সালে টার্জন ঘোষ নামে মামলাকারীর পিতৃবিয়োগ হয়। তাঁর বাবা একজন সরকারি কর্মচারী ছিলেন এবং তিনি সেসময় কর্মরত ছিলেন। ২০০৯ সালে টার্জন তাঁর বাবার মৃত্যুর নিরিখে Compassionate Appointments অর্থাৎ চাকরির জন্য আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয় এবং আদালত সমস্ত দলিল খুঁটিয়ে দেখে তাঁর আর্জি খারিজ করে দেয়। সেসময় দেখা যায়, টার্জনের পিতার মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল পঞ্চাশোর্ধ্ব এবং তার সন্তান ও Dependent-দের বয়স আঠারোর্ধ্ব। প্রত্যেকেই সাবালক। সন্তানের বয়স যেহেতু ১৮ পেরিয়ে গিয়েছে তাই তারা নিজেরা চাকরি খুঁজতে সক্ষম।  

সেসময় কোর্টের তরফে এও জানতে চাওয়া হয়, ২০০৭-এ ওই সরকারি কর্মীর মৃত্যু বলে তাঁর স্ত্রী বা পরিবার ২ বছর বাদে কেন চাকরির আবেদন করলেন? আর্থিক সমস্যা থাকলে তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে কেন আবেদন করলেন না সেই নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। অন্যদিকে, Compassionate Ground-এ Appointments নিয়ে বেশ কিছু জিনিস খতিয়ে দেখার কথা পর্যবেক্ষণে আগেই জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সেই সময় বলা হয়েছিল, সরকারী কর্মীর মৃত্যুর ফলে কতটা ক্ষতিগ্রস্থ ওই পরিবার তা খতিয়ে দেখার পরই যেন চাকরি দেওয়া হয়। আর্থিকভাবে পরিবার কতটা ক্ষতিগ্রস্থ, যার মৃত্যু হয়েছে তার আয় পরিবারের আয়ের ৪০ শতাংশের কম কি না সেটাও দেখতে হবে। সাধারনত সরকারী কর্মীর মৃত্যুতে একটা পরিবারের আয়ের মূল অবলম্বন ক্ষতিগ্রস্থ হয়,  সেটা ধরেই চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচার্য বিষয় থাকে। আর সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, Compassionate Ground-এ Appointments কখনই কোনও বংশগত অধিকার নয়।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সন্দেশখালিকাণ্ডে CBI তদন্তের বিরোধিতা করে রাজ্যের মামলার সুপ্রিম শুনানি মুলতুবি

নাখোদা মসজিদের সামনে প্লাস্টিকের গুদামে আগুন

রাজ্যের মন্ত্রীদের PSO-দের ডিউটি পরিবর্তনের ভাবনা নবান্নের, নেপথ্যে কেষ্ট’র সায়গল

মানিকতলায় বহুতলে রবিবার রাতে ভয়ংকর আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন

ফুসফুসের মধ্যে নাকছাবির অংশ, বের করতে সফল চিকিৎসক

ভাঙড়ে রবিবার দুপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংস আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর