নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে গরু পাচার মামলায়(Cattle Smuggling Case) বীরভূম জেলার তৃণমূলের দাপুটে নেতা কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মণ্ডলকে(Anubrata Mondol) গ্রেফতার করেছে CBI। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED-ও। এখন তিনি বন্দী আছেন দিল্লির তিহাড় জেলে। এর মধ্যে বেশ কয়েক বার কেষ্ট জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রত্যেক বারই খারিজ হয়েছে। কেননা ED ও CBI দুই এজেন্সির তরফেই তাঁর জামিনের বিরোধীতা করা হয়েছে। দুটি সংস্থারই দাবি, বাংলার গরু পাচার মামলায় অনুব্রতই মূল অভিযুক্ত। তাই তিনি জামিন পেলে সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন। এই অবস্থায় অনুব্রত মামলার ট্রায়াল কিছুতেই শুরু হচ্ছিল না দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে। কেননা সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে গরু পাচারের মামলা চলছে। শেষে এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা নিয়ে অনুব্রতের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। জানা গিয়েছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই সেই মামলার শুনানি শুরু হতে চলেছে। ঠিক তার আগেই কেষ্টকে ১ লক্ষ পাতার নথি ধরিয়েছে CBI।
জানা গিয়েছে, কেষ্টকে যে ১ লক্ষ পাতার নথি দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে আছে গরু পাচার মামলা সংক্রান্ত একাধিক চার্জশিটের কপি, বিভিন্ন রিপোর্টের প্রতিলিপি-সহ অনান্য নথি। তবে শুধু যে অনুব্রতকেই এই নথি ধরানো হয়েছে তা কিন্তু নয়। এই মামলার সঙ্গে জড়িত ও গ্রেফতার হওয়াদেরকেও এই নথি পাঠিয়েছে CBI। গরু পাচার মামলার মোট ১২ জন অভিযুক্তকেই এই ১ লক্ষ পাতার নথি সরবরাহ করা হয়েছে। মামলার বিচার পর্ব শুরু হওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অভিযুক্তদের কাছে ওই নথি তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে CBI। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই CBI’র আইনজীবী তথা কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল এস ভি রাজু সুপ্রিক কোর্টকে জানিয়ে দিয়েছে যে, গরু পাচার মামলার তদন্ত শেষ। এবার চার্জশিট জমা দিয়ে দেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল ১ বছরের বেশি সময় জেলে রয়েছেন। ওই মামলায় ৪টি চার্জশিট জমা পড়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু এখনও বিচার শুরু হয়নি। কিন্তু গরু পাচার মামলার মূল অভিযুক্ত-সহ বেশ কয়েক জন জামিন পেয়ে গিয়েছেন। শুধু অনুব্রত জামিন পাচ্ছেন না। আবার এই মামলাতেই কেষ্টর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনিও বাবার সঙ্গে একই জেলে মানে তিহাড় জেলেই রয়েছেন। তবে তাঁদের সেল আলাদা। তাঁদের দেখা সাক্ষাৎ-ও হয় কদাচিৎ। তাঁর কাছেও গিয়েছে ১ লক্ষ পাতার নথি। দেখার বিষয় এই মামলার বিচার শুরু হওয়ার পরে অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে জামিন পান কিনা। আর যদি জামিন না পান তাহলে বিচারের রায়ে কী উঠে আসে সেটাও দেখার বিষয় হয়ে থাকবে।