নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের হামলায় মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে হাতে পেল না সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে ভবানী ভবনে পৌঁছেছিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে এমন যুক্তি দেখিয়ে সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে রাজি হননি সিআইডি আধিকারিকরা। ফলে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করে খালি হাতেই ফিরে আসেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, এদিনই সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপরে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যেই মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার জন্য তিন দিনের জন্য নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী। যদিও তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরে সময় নষ্ট না করে ভবানী ভবনে সিআইডি দফতরে হাজির হন তিন সিবিআই আধিকারিক।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালির সরবেরিয়ায় তৎকালীন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে জেরার জন্য হানা দিয়েছিল ইডির আধিকারিকরা। আর ওই হানা দিতে গিয়েই জনরোষের মুখে পড়তে হয়েছিল ‘বিজেপি বান্ধব’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জনরোষের মুখে পড়ে কোনও ক্রমে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছিল বীরপুঙ্গব আধিকারিকরা। ওই দিনই ন্যাজাট থানায় হামলার অভিযোগ দায়ের করেছিল ইডি। গত ১৭ জানুয়ারি ওই ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশ ও সিবিআইকে নিয়ে যৌথ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
ওই রায় পছন্দ হয়নি ইডির। যৌথ তদন্তকারী দলের উপরে আস্থা নেই জানিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল। মামলার শুনানিতেই যৌথ সিটের উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে ন্যাজাট থানার তদন্তেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এদিন মামলার রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ন্যাজাট এবং বনগাঁ থানার মোট তিনটি অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই।