এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

CBSE স্কুলের সিলেবাস থেকে বাদ মুঘল যুগ, ‘ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত’, বললেন ব্রাত্য

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্বকবি(Rabindranath Tagore) লিখে গিয়েছেন, ‘শক হূণ দল পাঠান মোঘল এক দেহে হল লীন।’ সেই দেহের নাম ভারতবর্ষ(India) যাকে এখন ধর্মের নামে, ভাষার নামে, ভাগাভাগি করতে উঠেপড়ে লেগেছে দাঙ্গাবাজের দল। মোদি(Narendra Modi) জমানায় আমরে দেখেছি দেশের একের পর এক রেলস্টেশন ও শহরের নাম বদলে দিতে। চোখে পড়েছে একের পর এক সরকারি সিদ্ধান্ত বা সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিদের মন্তব্য কিংবা গেরুয়া শিবিরের নেতার বক্তব্য, যেখানে দেশের ইতিহাসকেই বদলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এবার তো সেই সব কিছু ছাড়িয়ে দেশের ইতিহাসকে মুছে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্কুল সিলেবাস থেকেই বাদ দিয়ে দেওয়া হল বাবর-আকবর-শাহজাহানের মুঘল যুগের(Mughal Age) ইতিহাস। মোদি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেন্দ্রচালিত বিদ্যালয়, আর্মি স্কুল, সেন্ট্রাল স্কুল সহ সিবিএসই অনুমোদিত স্কুলগুলির পাঠ্যক্রমে আর মুঘল অধ্যায় থাকবে না। এই ঘটনাকেই বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu) রীতিমত ‘ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত’ বলে চিহ্নিত করেছেন।

আরও পড়ুন মার্চ মাসে দেশে বেকারত্বের হার ৭.৮, বাংলায় মাত্র ৪.৮

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হচ্ছে নয়া সিলেবাস যেখানে ঠাঁই হারা হচ্ছেন বাবর, হুমায়ূণ, আকবর, জাহাঙ্গীর, শাহজাহান, ঔরঙ্গজেব। হারিয়ে যাচ্ছে তাজমহল, ফতেপুর সিক্রি, লালকেল্লার ইতিহাস। হারিয়ে যাচ্ছে মনসবদারী প্রথা, দীন-ই-ইলাহী, নওরোজের ইতিহাস। হারিয়ে যাবেন বীরবল, তানসেন, মানসিংহরা। National Council of Educational Research and Training বা NCERT সিদ্ধান্ত নিয়েছে CBSE স্কুলের সিলেবাস থেকে ধাপে ধাপে পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেওয়া হবে মুঘল যুগের ইতিহাসকে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যগুলির শিক্ষাবোর্ডকেও তা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে, যদিও তা বাধ্যতামূলক নয়। আর কেন্দ্রের এই সুরে সুর মিলিয়ে যোগী রাজ্যের শিক্ষাদফতর ও এই সিলেবাস মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ইতিহাস বদলের অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু এবার তারা ইতিহাস বইয়ের পাতা থেকে মুঘল যুগকেই মুছে দিচ্ছে।

আরও পড়ুন ২০২৩’র চতুর্থ শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ৩ অক্টোবর

গেরুয়া মতাদর্শের বিরোধী এমন কোনও কিছুই স্কুলের সিলেবাসে রাখতে চায় না মোদি সরকার। আর তার জেরেই নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি দেশজুড়ে কার্যকর করার আগেই সিলেবাস বদলে ফেলার একচ্ছত্র সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত শেষ করতে চাইছে মোদি সরকার। তাই শুধু ইতিহাসের বই থেকে মুঘল এক্সুগ বাদ পড়ছে তাই নয়, সমাজবিজ্ঞান এবং হিন্দি সাহিত্যের বই, অর্থনীতির বই, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বই, বিজ্ঞানের বই থেকেও অনেক অধ্যায় বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি বিশ্বের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ও ইতিহাসও কেটেছেঁটে ফেলা দেওয়া হচ্ছে। তবে এই ঘটনা যাতে দেশজুড়ে খুব বিতর্কের ঝড় না তোলে তার জন্য খুব সুকৌশলে সিলেবাস বদলের খালা শুরু করা হচ্ছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর পাঠ্যক্রম থেকে। এমনকি এই দেশ যে ধর্মনিরপেক্ষ, যুক্তরাষ্ট্রীয়, রাষ্ট্রীয় ভাষাহীন সেটাও ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন খোদ মোদি-শাহের গুজরাতেই ৩২ হাজারেরও বেশি স্কুলশিক্ষকের পদ শূন্য

মোদি সরকার ও দেশের শাসকদলের হর্তাকর্তাদের দীর্ঘকালের দাবি ও অবস্থানই হল—মহম্মদ ঘোরীর দিল্লি বিজয়ের পর থেকে ভারতের ইসলামি এবং ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের ইতিহাসকে বদলে দেওয়া। রাজস্থানে বিজেপি ক্ষমতাসীন থাকার সময় স্কুল সিলেবাসে হলদিঘাটের যুদ্ধে রাণা প্রতাপই আসলে বিজয়ী হয়েছিলেন বলে লেখা হয়। এখন সমালোচকদের দাবি, তারই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে জাতীয়স্তরে। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানিয়েছেন, ‘ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত। এবার তুর্কি, আফগানদের নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। বাংলার ইলিয়াস শাহীদের নিয়েও কী করবে জানি না। ৪০০ বছরের ইতিহাস বাদ দিতে চাইছে। এর বিকল্প হিসেবে কী দেবে? সর্বস্তরে প্রতিবাদ হওয়া দরকার এই ঘটনার। ভারতের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চাইছে কেন্দ্র। মুঘল শাসনকে বাদ দিয়ে কি ভারতের ইতিহাস বোঝা সম্ভব? ওরা একটা সময় বলতে শুরু করবে ভারতের ইতিহাস শুরু হয়েছে ২০১৪ সালে, মোদি ক্ষমতায় আসার পর।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যাব-ট্যাক্সির ভাড়া, সমস্যায় যাত্রীরা

মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে মামলা প্রত্যাহার, ট্যুইট করে দাবি কুণালের

বাংলার মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

সন্দেশখালিকাণ্ডে CBI তদন্তের বিরোধিতা করে রাজ্যের মামলার সুপ্রিম শুনানি মুলতুবি

নাখোদা মসজিদের সামনে প্লাস্টিকের গুদামে আগুন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর