এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

উন্নয়নের স্বীকৃতি দিয়েছে মোদি সরকার, তবুও আটকে ৩ হাজার কোটি

নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূলের(TMC) সঙ্গে বিজেপির(BJP) সম্পর্কের রসায়ন গত আড়াই দশকে নানা খাতে বয়ে গিয়েছে। একসময় তৃণমূল ছিল বিজেপির শরিক দল, এনডিএ’র অন্যতম অংশীদার। আর এখন সেই তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে সাপে নেউলের মারামারি। তবুও বাংলায়(Bengal) ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কাজকে কার্যত স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হচ্ছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। বাংলার বুকে নানা পুরনিগম ও পুরসভায় যেসব উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে সেই সব কাজের জেরে কেন্দ্র সরকার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু রাজনীতির জাঁতাকলে পড়ে সেই নগরোন্নয়নের খাতেই বাংলার জন্য বরাদ্দ হওয়া ৩ হাজার কোটি টাকা আটকে আছে বলে দাবি করেছে নবান্ন। অথচ ওই একই খাতে দেশের বিজেপি শাসিত অনান্য রাজ্যগুলিতে সেই টাকা বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলার ক্ষেত্রে এহেন বঞ্চনার কারণ কী সেটাই এখন প্রশ্ন তুলেছেন নবান্নের আধিকারিকেরা।

স্বচ্ছতা বজায় রেখে পুর-পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করায় সম্প্রতি বাংলার জন্য বিশেষ উৎসাহ ভাতা ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। গত সপ্তাহে বাংলা সহ দেশের চারটি রাজ্য এই ভাতা পেয়েছে। বাকি ৩টি রাজ্য হল বিহার, কর্ণাটক এবং সিকিম। পাশপাশি টাকা পেয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রও। শেষের এই দুই রাজ্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের পুরনিগম ও পুরসভাগুলির উন্নতির জন্য যথাক্রমে ১৯৮৮ এবং ৮৪০কোটি টাকা পেয়েও গিয়েছে। বাংলার জন্য এই একই খাতে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা। অথচ সেই টাকা এখনও নবান্ন অবধি এসে পৌঁছায়নি। নবান্নের আধিকারিকদের দাবি, স্রেফ রাজনীতির কারণে মোদি সরকার বাংলার এই প্রাপ্য পাওয়া আটকে রেখে দিয়েছে। ঠিক যেভাবে বাংলার বুকে ১০০ দিনের কাজ, সড়ক ও আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ আটকে রেখে দিয়েছে মোদি সরকার।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, নগরোন্নয়নে সন্তোষজনক কাজের জন্য উৎসাহ ভাতা বাঁ ইনোভেটিভ চ্যালেঞ্জ ফান্ড বাবদ বাংলা পেয়েছে ৭.৩৫ কোটি টাকা। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের নির্দিষ্ট বরাদ্দ কলকাতা ও হাওড়া যৌথ ভাবে এবং আসানসোল পুরনিগম যথাযথ খরচ করেছে বলেই এই ভাতা মিলেছে। অথচ, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের এই মুহূর্তে বকেয়া তিনটি কিস্তির টাকা। সব মিলিয়ে পরিমাণটা প্রায় ৩০০০ কোটি। এর মধ্যে কলকাতা-হাওড়া এবং আসানসোল পুরনিগমের বকেয়া প্রায় ৯৩০ কোটি টাকা। বাদবাকি পুরসভাগুলির জন্য ২০৭৬ কোটি টাকা। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অধীনে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বাংলা পেয়েছিল প্রায় ২১০০ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের দু’টি কিস্তি এবং চলতি অর্থবর্ষের একটি কিস্তির প্রাপ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

নবান্নের আধিকারিকদের দাবি, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পাওয়া বরাদ্দের যাবতীয় হিসেব সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রকে। টাকা পেতে গেলে আগামী চার বছরের কাজের পরিকল্পনার খসড়া জমা দিতে হয় কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকে। সেই কাজও শেষ করেছে রাজ্য। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অধীনে নগরোন্নয়ন খাতে পাঁচ বছরে রাজ্যের প্রাপ্য প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম বছরের কিস্তির পর আর কোনও টাকা দেয়নি কেন্দ্র। নবান্নের এক আধিকারিক বলেন, মূলত রাজনীতির ফাঁসে আটকে রয়েছে বরাদ্দ। তা আড়াল করতে দেরিতে কাগজপত্র জমা দেওয়ার অজুহাত খাড়া করা হচ্ছে বাংলার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের তরফে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নাখোদা মসজিদের সামনে প্লাস্টিকের গুদামে আগুন

রাজ্যের মন্ত্রীদের PSO-দের ডিউটি পরিবর্তনের ভাবনা নবান্নের, নেপথ্যে কেষ্ট’র সায়গল

মানিকতলায় বহুতলে রবিবার রাতে ভয়ংকর আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন

ফুসফুসের মধ্যে নাকছাবির অংশ, বের করতে সফল চিকিৎসক

ভাঙড়ে রবিবার দুপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংস আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর