নিজস্ব প্রতিনিধি: আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষা করতে রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ায় বাজেট ঘাটতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে রাজ্য সরকার দাবি করেছে। বিধানসভায়(Assembly) আজ চলতি আর্থিক বছরের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের দাবি বিধানসভায় পেশ করে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya)। আর্থিক শৃঙ্খলা প্রশ্নে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দেন তিনি। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন একশ দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মিলছে না।
ওই সব প্রকল্প চালিয়ে যেতে রাজ্য সরকারকে বাজেট বহির্ভূত খরচ করতে হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা আইনে শ্রমিকদের ১৫ দিনের মধ্যে পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে চলেছে। প্রকল্পে অনিয়ম হলেও দরিদ্র শ্রমিকদের তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা যায় কিনা তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য, সড়ক পরিকাঠামো, পরিবেশ রক্ষার কাজে বাড়তি খরচ করার জন্যেও বাজেট ঘাটতি হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন। দেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত খনি প্রকল্পে পরিকঠামো নির্মাণে ২০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত খরচ হওয়া সত্বেও রাজ্য সরকার বাজেট (Budget)ঘাটতি কমিয়ে আনতে স্বক্ষম হয়েছে। ২০২১-২২ আর্থিক বছরে যেখানে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯ শতাংশের বেশি তা ২২-২৩ আর্থিক বছরে কমে ৬ শতাংশের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের দাবির সমালোচনা করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী রাজ্যের আর্থিক শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কেন বাজেট বরাদ্দের তুলনায় রাজ্যের খরচ বেড়ে যাচ্ছে সেদিকে তিনি দৃষ্টি আকর্ষন করেন। বিরোধীদের অভিযোগ সরকারি প্রকল্পের টাকা খরচ করে মেলা খেলার আয়োজন করার জন্যই রাজ্যের আর্থিক শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। আলোচনার শেষে প্রায় ২১হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের দাবি সভায় গৃহীত হয়।