নিজস্ব প্রতিনিধি: এখন কলকাতা (KOLKATA) জোন- ৩ (ZONE-3)- এর তালিকাভুক্ত। মানে বছরে অন্তত ১-২ টো ভূমিকম্প (EARTH QUAKE) হতেই পারে। গত ২০১২ সাল থেকেই জোন- ৩- এর তালিকাভুক্ত মহানগর।
এর আগে কলকাতা ছিল জোন-২ তালিকায়। তবে দশ বছর আগেই হয়েছে সেই তালিকার বদল। ফলে ভূমিকম্পের আশঙ্কা বেড়েছে আরও। কলকাতা মানেই গঙ্গা। আর গঙ্গার নিচে রয়েছে ফল্ট লাইন। রাজ্যের রাজধানী দাঁড়িয়ে রয়েছে ফুলি মাটির ওপর। উল্লেখ্য, এই ফল্ট লাইন রাজ্যের মুর্শিদাবাদেও। আর মুর্শিদাবাদ পেরিয়ে ঢুকে গিয়েছে বাংলাদেশে। ফলে বঙ্গোপসাগর, মায়ানমার ভারত সীমান্ত, সিকিম বা উত্তর-পূর্ব ভারতে ভূমিকম্প হলে ফল্ট লাইন যোগসূত্রে কেঁপে উঠতে পারে কলকাতা।
প্রসঙ্গত, মেট্রোরেল, বিভিন্ন নির্মাণ ও খননকার্যে কলকাতার ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়ে চলেছে। এখানে মাটির সবচেয়ে ওপরের স্তরের গভীরতা মাত্র ৪০ মিটার। নিচের স্তর ভঙ্গুর, ফলে বাড়ছে আশঙ্কা। কলকাতায় অনেক অংশের মাটি ফাঁপা। আশঙ্কা, মাত্র ১ মিনিট ভূমিকম্প হলেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে পারে কলকাতা। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে পারে রাজ্যের রাজধানীর প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়ি। তা থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত প্রয়োজন হোলিস্টিক ডেভলপমেন্ট প্ল্যান, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কোন কোন এলাকায় আশঙ্কা? খিদিরপুর, পার্ক সার্কাস, কলেজস্ট্রিট, শ্যামবাজার, বউবাজার রাজারহাট, সল্টলেক, বেহালা, গড়িয়া, ঠাকুরপুকুর ও সংলগ্ন অঞ্চলে। এরমধ্যে বেহালা, গড়িয়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভূমিকম্পের তীব্রতা মাঝারি। উল্লেখ্য, কলকাতা ইতিমধ্যেই জোন- ৩- এর আওতায়। ফলে পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়ন করার কাজ যত দ্রুত হবে ততই মঙ্গল।