নিজস্ব প্রতিনিধি : সন্দেশখালিকাণ্ডে শেখ শাহজাহান রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ইডি। রেশন দুর্নীতি মামলায় যে তদন্ত চলছে, তার অনেক নথি নষ্ট হতে পারে, এই আশঙ্কা করেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
এদিন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী। ইডির আইনজীবী আদালতকে জানান, সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত শাহজাহান এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এর ফলে ইডি যে মামলার তদন্ত করছে, তার অনেক তথ্য প্রমাণ নষ্ট করে দেওয়া হতে পারে। একইসঙ্গে ইডির আইনজীবী জানান, ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনার দ্রুত শুনানি হোক। সম্ভব হলে শুক্রবারই এই মামলার শুনানি হোক। ইডি আইনজীবীর দাবি শুনে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, পুরো বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে।
এর আগে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চ ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সিবিআই ও রাজ্য পুলিশকে যৌথভাবে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্চ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় ইডি ও রাজ্য সরকার। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সেই সিট গঠনের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এবার ইডির তরফেই আদালতের কাছে সিট গঠনের আর্জি জানানো হল।
এদিকে এদিন শাহজাহানকে গ্রেফতার করার পর এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার সংবাদিক সম্মেলন করে জানান, সংবাদমাধ্যমের একাংশ বলে যাচ্ছিল পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে শাহজাহানকে গ্রেফতার করছে না। আসলে যে কথা বলা হচ্ছে, সেটি ভুল ও অপপ্রচার। আইনি বাধ্যবাধকতা থাকার কারণেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যায়নি। রাজ্য পুলিশের ওপর আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল ঠিকই। কিন্তু ইডির ওপর ছিল না। তাহলে কেন ইডি শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে উদ্যোগী হয়নি।