নিজস্ব প্রতিনিধি: শিক্ষা সংক্রান্ত আর কোনও মামলা নেই তাঁর এজলাসে। প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাও সরেছে তাঁর এজলাস থেকে। সুপ্রিম নির্দেশে সরেছে রাজ্যের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি সংক্রান্ত মামলাও। এবার সেই সব নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। মানে কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Justice Abhijit Gangopadhay)। এদিন তিনি নিজের এজলাসে বসেই জানান, ‘মনে হয় প্রাথমিকের জেলা স্কুল পরিদর্শক এবং অন্যান্যরা কালীঘাটে পুজো দিয়ে এসেছেন। গত বছর যখন শ্রম সংক্রান্ত মামলা আমি শুনতাম, তখনও অনেকে দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে আমি সরানোর জন্য পুজো দিয়ে এসেছিলেন। বলেছিলেন, মা, একে সরিয়ে দাও। এখন মনে হয় প্রাথমিকের মামলা থেকেও আমাকে সরানোর জন্য পুজো দিয়ে এসেছেন ওরা।’ যদিও কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টও(Supreme Court) তাঁর মেডিকেল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত মামলার রায়ে হাইকোর্টেরই অপর বিচারপতি সৌমেন সেনের(Justice Soumen Sen) প্রতি লিখিত প্রসঙ্গকে তীব্র সমালোচনা করেছে।
গত মঙ্গলবার প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের(Justice T. S. Sivagnanam) এজলাস থেকে সরিয়ে দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। ওই মামলাগুলি এখন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থায় এজলাসে পাঠানো হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম জানিয়েছিলেন, তিনি লজ্জিত। এর পরেই উচ্চ প্রাথমিকের মামলা থেকে গত মঙ্গলবার নিজে থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন বিচারপতি সৌমেন সেন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘দেশের অন্যতম বিচারালয়ে এই ঘটনার দীর্ঘ একটি প্রভাব পড়ে। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক করা যায় সেই জন্য চেষ্টা করছি। ব্যক্তিগতভাবে ঘটনাটির জন্য লজ্জিত এবং দুঃখিত।’ সেই সব ঘটনার পরে এদিন মুখ খুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, প্রথম দিকে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপের নীতি নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন রাজ্যের জনমানসে এখন সেই জনপ্রিয়তার গ্রাফ নিম্নমুখী হচ্ছে ক্রমশ।