এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বীর্যহারা কলকাতা, দেশে পুরুষ বন্ধ্যাত্বের শীর্ষে বাংলা

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের জনসংখ্যা যখন ক্রমশ বেড়ে চলেছে তখন নীরব ঘাতক হিসাবে ক্রমশ থাবা চওড়া করছে পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের(Male Infertility) সমস্যা। চমকে যাবেন না, কিন্তু শুনলে অবাক হয়ে যাবেন খাস কলকাতায়(Kolkata) পুরুষেরা ক্রমশ বীর্যহীন(Sperm Less) হয়ে পড়ছেন। সেই সঙ্গে বাংলা(Bengal) জুড়েই বাড়ছে পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা। দেশের মধ্যে শুক্রানু ঘাটতির ক্ষেত্রে শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলা। দেশজুড়ে চালানো এক বেসরকারি সমীক্ষায় এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এসেছে। এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। সেই সমীক্ষার ফল মিলিয়ে দেখা হয়েছে ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন আইভিএফ সেন্টারে(IVF Centre) চিকিৎসা করাতে আসা প্রায় ৬৫ হাজার দম্পতির মেডিকেল রিপোর্টের সঙ্গে। আর সেখানেই এই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষকদের দাবি, বাংলার ৮৬ শতাংশ পুরুষ বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় ভুগছেন। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি আবার এই সম্পর্কে কিছুই জানেন না।  

আরও পড়ুন বাংলায় ৮ হাজার কোটি টাকার জিএসটি প্রতারণা, গলদ আইনেই

সমীক্ষকদের দাবি, বিগত ৩ বছরে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি আইভিএফ সেন্টারে চিকিৎসা করতে আসা প্রায় ৬৫ হাজার দম্পতির মেডিকেল রিপোর্ট আগে সংগ্রহ করা হয়। তারপর চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার দম্পতির মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয় যারা এ রাজ্যের বিভিন্ন আইভিএফ সেন্টারে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। এই দুটি রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই তাঁরা বুঝতে পেরেছেন বাংলার প্রায় ৮৬ শতাংশ পুরুষ কার্যত বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় ভুগছেন। চমকে দেওয়ার মতো বিষয় এদের প্রায় অর্ধেক পুরুষই জানতেনই না তিনি বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন। তাঁদের ধারনা হয়েছিল সন্তান না হওয়ার নেপথ্যে স্ত্রীর শারীরিক সমস্যা ছিল। কার্যত তাঁরা সেই জন্যই স্ত্রীদের চিকিৎসা করাতেই আইভিএফ সেন্টারে এসেছিলেন। কিন্তু সেখানে দেখা যায় স্ত্রী সন্তান ধারনে সম্পূর্ণ সক্ষম। আর তখনই তাঁরা স্বামীদের শারীরিক পরীক্ষা করানোর ওপর জোর দেন। দেখা হয় তাঁদের শুক্রানুর স্বাস্থ্যের অবস্থা, বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা এবং তিনি স্ত্রীর সঙ্গে সঠিক ভাবে মিলিত হতে পাচ্ছেন কিনা সেই বিষয়টিও। আর সেখানেই ধরা পড়ে আসল সমস্যা।  

আরও পড়ুন রেশন দোকান আর ডিলারদের সম্পত্তি নয়, আইন আনছে কেন্দ্র

কিন্তু কেন বাড়ছে এই পুরুষ বন্ধ্যাত্বের সমস্যা? সমীক্ষকদের দাবি, নানা কারণ রয়েছে এই সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার মূলে। প্রথমত খাদ্যাভাস ঠিক না থাকা। দ্বিতীয়ত কাজের জগতের চাপ ও তা থেকে মানসিক ধকল। তৃতীয়ত দেরীতে বিয়ে করা এবং চতুর্থত খুব খারাপ সেক্সলাইফ লিড করা। টাইট জিন্স বা প্যান্ট এবং টাইট অন্তর্বাস পরাও এর অন্যতম কারণ। বিপদ বাড়াচ্ছে মোবাইলের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি এবং রাত জেগে মোবাইলের ব্যবহার। ভাল ঘুম না হলে, ভাল খাবার না খেলে, মানসিক ভাবে ভাল না থাকলে শরীরে তার প্রভাব পড়বেই। তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পড়ে যৌন জীবনের ওপরেও। সেটাই এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে। বাংলার যে ৮৬ শতাংশ পুরুষ এই বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের মধ্যে আবার দেখা যাচ্ছে প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১জন শুক্রানুজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। হয় তাঁদের বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা কমে গিয়েছে না হয় শুক্রানুর স্বাস্থ্যের হাল বেহাল। তাই তাঁরা সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হলেও সন্তানের মুখ দেখতে পারছেন না। একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে এরা ভীষণরকম ভাবে হয় সিগারেট, নাহয় গাঁজা, নাহলে মদ কিংবা মাদক সেবনে বেশি রকমের অভ্যস্ত। সিগারেট অপেক্ষাও এক্ষেত্রে ক্ষতি বেশি করছে অতিরিক্ত গাঁজা, মদ আর মাদকের সেবন।

আরও পড়ুন কেন্দ্রের চাপে বাংলায় বাতিল হচ্ছে ৫ লক্ষ ভুয়ো জবকার্ড

আরও চমকে দেওয়ার মতো তথ্য এটাই চলতি বছরে কলকাতায় নানা বেসরকারি আইভিএফ সেন্টারে যে সব দম্পতি চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে প্রায় ১১ শতাংশ পুরুষের শুক্রানু উৎপাদিতই হয় না। মিলনকালে লিঙ্গোত্থানের সমস্যা রয়েছে প্রায় সম সংখ্যক পুরুষের। ৮ শতাংশ পুরুষের আবার দ্রুত বীর্যস্খলনের সমস্যা রয়েছে। দেশের মধ্যে বাংলার পুরুষদের মধ্যে যেভাবে বন্ধ্যাত্ব বাড়ছে তাতে এ রাজ্যের সামাজিক জীবন ধাক্কা খেতে বাধ্য বলেই সমীক্ষকদের দাবি। তবে তাঁরা এটাও বলছেন, সামগ্রিকতার বিচারে এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। বাংলার সব পুরুষের মধ্যে এই সমীক্ষা ও পরীক্ষা চালানো হলে এই ছবিটা বদলাতে পারে আবার নাও বদলাতে পারে। তবে পুরুষদের মানসিকতা বদলাচ্ছে এটা খুব ভাল লক্ষ্যণ। আগে সন্তান না হলে মেয়দের ‘বাঁজা’ বলে দেগে দেওয়া হত। মেয়েটির ঘাড়েই যাবতীয় দোষ চাপিয়ে দেওয়া হত। এখন কিন্তু সেটা বলা আর সহজ হচ্ছে না। বরঞ্চ পুরুষ নিজে থেকেই এগিয়ে আসছে চিকিৎসার জন্য। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা হলে ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। কিন্তু সামাজিক আড়ষ্টতা কাটিয়ে পুরুষকে এগিয়ে আসতেই হবে তাঁর সমস্যা সমাধানের জন্য।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মানিকতলায় বহুতলে রবিবার রাতে ভয়ংকর আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন

ফুসফুসের মধ্যে নাকছাবির অংশ, বের করতে সফল চিকিৎসক

ভাঙড়ে রবিবার দুপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংস আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

ভোটের কাজে এবার নেওয়া হচ্ছে স্কুলবাসও

প্রতিপক্ষের নাম ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিরোধীরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর