এই মুহূর্তে




জহরের ছেড়ে যাওয়া আসনে দলের একনিষ্ঠ কর্মীকেই আনতে চান মমতা-অভিষেক

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: আর জি কর কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের(TMC) রাজ্যসভার সাংসদ(Rajya Sabha MP) পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জহর সরকার। তাঁর ছেড়ে যাওয়া ফাঁকা আসনে আগামী ৬ মাসের মধ্যেই ফের নির্বাচন হবে। সেই সময় কে তৃণমূলের তরফে টিকিট পাবেন সেই নিয়ে জোড়াফুল শিবিরের অন্দরে বেশ কৌতুহল তৈরি হয়েছে। যেহেতু সেই সময় ১টি মাত্র আসনেই নির্বাচন হবে, তাই সেই নির্বাচনে তৃণমূলের তরফে যিনি প্রার্থী হবেন তাঁর জয় নিশ্চিত। হয়তো দেখা যাবে বিনা যুদ্ধেই তিনি সেই আসনের জন্য নির্বাচিত হয়ে গেলেন। এই অবস্থায় কে হবেন সেই প্রার্থী(Bye Election Candidate) তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে তৃণমূলের অন্দরে। তবে জোড়াফুল শিবিরের দাবি, সংসদে উচ্চকক্ষে দলের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানোর জন্য একনিষ্ঠ কর্মীর খোঁজ শুরু করেছে তৃণমূল। দলের প্রতি অনুগত, দলের স্বার্থে সবসময় কাজ করেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে, এমন ব্যক্তিকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন, সর্বভারতীয় স্পিকার সম্মেলনে বোসের বিরুদ্ধে সরব হবেন বিমান

২০২৬ সালের ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাংসদ হিসেবে কার্যকালের মেয়াদ ছিল জহরবাবুর। এই অবস্থায় বছর দেড়েকের জন্য উপনির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সাংসদকে নির্বাচিত করে দিল্লি পাঠাবে তৃণমূল। দিল্লি যাত্রার চর্চায় কারা? দলীয় সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, প্রাক্তন প্রশাসনিক কর্তা, চলচ্চিত্র জগৎ কিংবা বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে থেকে রাজ্যসভার নির্বাচনে আর প্রার্থী বাছাই করতে চাইছে না তৃণমূল। এখানে শাসক দলের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় উঠে এসেছে, কর্মীকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গ। দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছেন, এমন ব্যক্তির খোঁজ করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে দেখা হচ্ছে, যাঁর নামে কোনও অভিযোগ নেই, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রয়েছে, এমন ব্যক্তিকে রাজ্যসভায় পাঠানো হবে। সেইসঙ্গে পরিষদীয় রাজনীতির খুঁটিনাটি জানেন, সংসদে দাঁড়িয়ে ভালো বক্তৃতা রাখতে পারবেন, দলের কথা তুলে ধরতে পারবেন, এমন ব্যক্তিকেই চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এক্ষেত্রে দলের জন্য যিনি কাজ করছেন এবং একনিষ্ঠ কর্মীর পরিচয় বহন করছেন, তাঁর দিকেই ঝুঁকেই তৃণমূল নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন, মাস্টারপ্ল্যান থাকলেও এই বন্যা রুখতে পারতো না, দাবি দেবের

সূত্রের খবর, ভিন রাজ্য থেকে প্রার্থী দেওয়া হবে না এবার। এর আগে সুস্মিতা দেব, সাগরিকা ঘোষ, সাকেত গোখলকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে তৃণমূল। তাঁরা ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। এবার এরাজ্যের সঙ্গে মাটির যোগ রয়েছে, সেই ব্যক্তিকেই রাজ্যসভায় পাঠানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শাসক দলের রাজ্যস্তরের এক নেতা বলেন, কর্মীরাই হলেন দলের সম্পদ। ফলে সব দিক দেখে দলীয় কর্মীদের মধ্যে থেকেই একজনকে এবার রাজ্যসভায় পাঠানোর ব্যাপারে আলোচনা চলছে। আর জি কর কাণ্ডে দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের বহু তারকা সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীরা সেভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব হননি, যা নীচুতলার কর্মীরা হয়েছেন। সাধারণ সমর্থকেরা হয়েছেন। একই সঙ্গে দলের মধ্যে থেকে দলের দুর্দিনে পাশে না থাকার ঘটনাও এবার সামনে এসেছে বিস্তর। আর তাই যাকে তাকে দলের রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠাত্যে চাইছেন না খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এই বিষয়ে দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও(Abhishek Banerjee) নাকি একমত। আর তাই খোঁজ শুরু হয়েছে দলের একনিষ্ঠ কর্মীর। তবে কার ভাগ্যে সেই শিকা ছিঁড়বে তা এখন থেকে যেমন বলা মুশকিল, তেমনি এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতাই।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি’, রতন টাটার প্রয়াণে শোকবার্তা মমতার

বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পেল কোন কোন পুজো? দেখে নিন তালিকা…

গণ ইস্তফার সস্তা নাটক সিনিয়র চিকি‍ৎসকদের, নিয়ম মেনে কেন ইস্তফা দিচ্ছেন না উঠেছে প্রশ্ন

ফুচকাওয়ালা নিগ্রহকাণ্ডে মুখ খুলল সিংহী পার্ক পুজো কমিটি

ট্যাক্সিতে মিটার বসানো নিয়ে নয়া সুবিধা দিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার

যাত্রী সংখ্যায় নয়া রেকর্ড গড়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দর

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর