এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘Land Bank ছিল না, আমরা করেছি’, জমি নিয়ে শিল্পপতিদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

Courtesy - Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: সিঙ্গুর(Singur) ও নন্দীগ্রাম(Nandigram)। বাংলা তথা দেশের জমি আন্দোলনের দুই পীঠস্থান। আর সেই দুই জমি আন্দোলনের জেরেই বাংলা থেকে যেমন ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বামেদের ৩৪ বছরের রাজত্বপাট, ঠিক তেমনি সেই জমি আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই বাংলার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। আরও বলা ভাল বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বিরোধীরা আজও তাঁকে এবং তাঁর দলকে নিরন্তর আক্রমণ শানিয়ে চলে এই দুই জমি আন্দোলন এবং টাটাদের বিদায় নিয়ে। মমতা নিজেও বিলক্ষণ জানেন, রাজ্যে বড় শিল্পের আসার ক্ষেত্রে জমিজট একটা বড় সমস্যা। কেননা গ্রামবাংলায় বর্গাদার প্রথা আজও আছে এবং সেখানে আজও জমি ছোট ছোট প্লটে ভাগ হয়ে আছে। তাই আজও সেখানে একলপ্তে জমি পাওয়া একটা বড় সমস্যা। এই সমস্যা কাটিয়ে তুলতেই তিনি জোর দিয়েছেন রাজ্যে Land Bank গড়ে তোলার কাজে। সেই Land Bank’র কথাই এদিন মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরলেন শিল্পপতিদের সামনে 7th Bengal Global Business Summit 2023’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১১ সালের আগে বাম আমলে বাংলায় শিল্পস্থাপনের জন্য ছিল না কোনও Land Bank। আমরা ক্ষমতায় এসে সেই Land Bank গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জোর দিয়েছি। এখানে Free Hold জমিও আছে। এখানে যদি ব্যবসার পরিবেশ না থাকত, লাভ যদি না হতো তাহলে এতকিছু আমরা করলাম কেমন করে। বাংলাকে হিংসার জায়গা হিসাবে দেখানো হয়। এটা একটা রাজনৈতিক দলের অপপ্রচার। এখানে এসে ব্যবসা করুন। এখানে পরিবেশ আছে। এখানে কর্মসংস্থান গড়ে উঠছে। আসুন আমরা বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। এই মুহূর্তে শুধু Land Bank-ই নয়, রাজ্যের তরফে গড়ে তোলা হয়েছে ৪টি বাণিজ্যিক অর্থনৈতিক অঞ্চলও। বাংলায় স্থায়ী সরকার রয়েছে। শক্তিশালী অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। শিল্প স্থাপনের অনুকুল পরিবেশও রয়েছে। তাই ১৭টি দেশ বাংলার সঙ্গে পার্টনারশিপে এগিয়ে এসেছে। গত ছটি সম্মেলনে ১৯০ লক্ষ ইউএস ডলার বিনিয়োগের আশ্বাস পাওয়া গিয়েছিল। যার মধ্যে ১২০ লক্ষ ইউএস ডলার ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের জিএসডিপি চার গুণ বেড়েছে। রেভিনিউ বেড়েছে চার গুণ। বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে ৩.৮ গুণ।’

এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক সেক্টর বা সোশ্যাল সেক্টরের ক্ষেত্রে আমরা বাংলা টপ অফ দি টপ। আমি আমার বাংলার মানুষকে আরো অনেক বেশি স্বাস্থ্যবান দেখতে চাই। কর্মসংস্থান এখন আমাদের প্রাইম লক্ষ্য। আমাদের রাজ্যে এখন ৯০ লক্ষ এমএসএমই ইউনিট আছে যা সারা দেশে সর্বাধিক। আমাদের প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, রয়েছে প্রচুর ক্রেতা। একটি স্থায়ী সরকার এবং তার পাশাপাশি রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। এখানে নেই কোনও ভেদাভেদ। শিল্প স্থাপনের অনুকুল পরিবেশ রয়েছে। তাজপুর বন্দর তৈরি হচ্ছে। ঢেউচা পাঁচামি তৈরি হচ্ছে। এখানে সিলিকন ভ্যালি গড়ে উঠেছে। আইটি শিল্প গড়ে উঠছে। বানতলা চামড়া কমপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। এখানে স্কিল রয়েছে। মেধা রয়েছে। এখানে কোনও বিদ্যুতের সমস্যা নেই। ২০২৩ সালের মধ্যে গ্যাস তৈরির কাজ হবে। এটা বড় গেম চেঞ্জার হয়ে উঠেছে বাংলা। শিল্প গড়ার জন্য এখানে আপনাদের জমি নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। আপনারা জমি পাবেন। তার ব্যবস্থা আমরা করে রেখেছি।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার সুপ্রিম শুনানি সোমবার

সিটি সেন্টারে ভোটদানে উৎসাহ প্রদান প্রশাসনের, তৈরি সেলফি জোন

রবিবার কলকাতা তেঁতে পুড়ে যাবে, উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ঝড় -বৃষ্টির পূর্বাভাস

এবার আর Vote Boycot’র ডাক দিচ্ছে না Smart City Newtown

‘গতর খাটিয়ে খাই, শ্রমিকের অধিকার চাই’, মে দিবসে বন্ধ থাকবে সোনাগাছি

হাওড়ার ডুমুরজলায় হচ্ছে না মোদির সভা, বড় ধাক্কা রথীনের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর