এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিজেপির হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জিতে আসুন, রাজ্যপালকে প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজভবন থেকে সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা চলছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এবার সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানালেন। তাঁর এক্তিয়ারও স্মরণ করিয়ে দিলেন। তাঁর অসাংবিধানিক সব পদক্ষেপ ও কীর্তিকলাপকেও বিঁধলেন তিনি সমান ভাবে। নজরে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ(Governor C V Ananda Bose) বোস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Chief Minister Mamata Banerjee)। বিশ্ব আদিবাসী দিবসে ঝাড়গ্রামে এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেই মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে। মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁর সীমাবদ্ধতার কথা। সব বিষয়ে তাঁর গাজোয়ারি মনোভাব যে রাজ্য সরকার মোটেও ভাল ভাবে নিচ্ছে সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন ‘ভালবাসা দিয়ে জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরিয়েছি’, বার্তা কুড়মিদেরও

ঠিক কী বলেছেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন ঝাড়গ্রাম থেকে রাজ্যপালকে নিশানা বানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যপালের আসন সাংবিধানিক। তাঁর কাজ সীমাবদ্ধ রয়েছে সংবিধানে। সবকিছু গায়ের জোরে এভাবে করতে পারেন না উনি। গায়ের জোরে রাজ্যটাকে কিনে নেওয়া যায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় করছি, উনি দালালি করে কাজ আটকে দিচ্ছেন। আমরা এখানে ঝাড়গ্রামে ইউনির্ভাসিটি করে দিয়েছি। না আছে ভিসি, না আছে রেজিস্ট্রার। কারণ পাঠালেই উনি ওঁর মতো বিজেপির লোককে বসিয়ে দিচ্ছেন। আমার মুখ্যসচিবকে অনুরোধ, ইমিডিয়েট আমাদের যে রেকমেন্ডেশন সেই রেকমেন্ডেশন হায়ার এডুকেশন থেকে করে দিতে। আগে এক জন রেজিস্ট্রার অন্তত পাঠান। পরীক্ষার সার্টিফিকেটও দিতে পারছে না। আমি ইউনির্ভাসিটি করে দিচ্ছি, আর উনি দালালি করে আটকে দিচ্ছেন। আমরা এটা মানব না। স্ট্রেট মানব না। ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমিডিয়েট ভিসি এবং রেজিস্ট্রার আমি আজকেই করে দেব।’

আরও পড়ুন ‘জগাই-মাধাই-গদাই’দের নয়া নাম ‘বিজেন্ডিয়া’, করলেন মমতা

এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গভর্নর মহাশয় এখন কালো চশমা পরেন। তিনি পরতেই পারেন, একটার জায়গায় ১০টা। জ্ঞান দিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু আমরা নাম পাঠালেও উপাচার্য নিয়োগ করেন না। রাজ্যপাল কালো চশমা পরে নিজের ইচ্ছে মতো কেরল থেকে লোক নিয়ে এসে বসিয়ে দিচ্ছে। কেরলের অনেক বন্ধুই আমাদের এখানে থাকছে, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ভিসি হতে গেলে কমপক্ষে ১০ বছরের অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একজনকে ভিসি করেছেন, তিনি আবার কেরলে আইপিএস ছিলেন। যাঁর সঙ্গে এডুকেশনের কোনও যোগাযোগ নেই। ভিসি করতে গেলে তিনটে নাম পাঠাতে হয়। যদি আপনার সৎসাহস থাকে, অ্যাসেম্বলিতে যে বিলটা পাশ হয়েছে, যে মুখ্যমন্ত্রী চেয়ারপার্সন হবেন, চান্সেলর হবেন। সেই বিলটা আপনি সই করে দিন। ইংরেজ আমলে একটা আইন ছিল। তখন মাত্র তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আজকে আমাদের এখানে ৪৪-৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে গিয়েছে। উনি এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভিসি কে হবে ঠিক করবেন?’

আরও পড়ুন ঝাড়গ্রাম থেকেই তিন ভাষার ফর্মুলার কথা জানালেন মমতা

এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের বিজেপি যোগ টেনে এনে তীব্র আক্রমণ শানেন। তিনি বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের ডেকে বলছেন দুর্নীতি কাকে বলে, দাঙ্গা কাকে বলে, এটা রাজ্যপালের কাজ? রাজ্যপালের আসনটা হচ্ছে সাংবিধানিক আসন। তার কাজ সংবিধানে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া আছে। সেই কাজ তিনি করবেন। কিন্তু তিনি কী করছেন? তিনি সবকিছু এ ভাবে করতে পারেন না। এ ভাবে সবকিছু টাকা দিয়ে কিনে নিতে পারেন না। বলা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী যা করছে আমিও তাই করব। আপনি তা হলে দল তৈরি করুন। ইলেকশনে জিতে আসুন। বিজেপির(BJP) হয়েই ইলেকশনে দাঁড়ান। তার পর যদি কোনওদিনও জিততে পারেন। ১০০ বছরেও হবে না। ততদিনে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার সুপ্রিম শুনানি সোমবার

সিটি সেন্টারে ভোটদানে উৎসাহ প্রদান প্রশাসনের, তৈরি সেলফি জোন

রবিবার কলকাতা তেঁতে পুড়ে যাবে, উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ঝড় -বৃষ্টির পূর্বাভাস

এবার আর Vote Boycot’র ডাক দিচ্ছে না Smart City Newtown

‘গতর খাটিয়ে খাই, শ্রমিকের অধিকার চাই’, মে দিবসে বন্ধ থাকবে সোনাগাছি

হাওড়ার ডুমুরজলায় হচ্ছে না মোদির সভা, বড় ধাক্কা রথীনের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর