এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

শুধু নয় কলকাতা, বাংলাজুড়েই এবার 5G পরিষেবা

নিজস্ব প্রতিনিধি: পরিবর্তনের পরে দেশের মধ্যে বাংলার বুকেই সব থেকে আগে ও সব থেকে বেশি অনলাইনের মাধ্যমে সরকারি কাজকর্মে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। গত এক দশকে রাজ্য সরকারের প্রায় সব কাজকর্মই অনলাইনের মাধ্যমে সম্পাদন হওয়ার রূপ পেয়ে গিয়েছে। নেপথ্যে অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রী। তিনিই এই রূপান্তর ঘটিয়েছেন। চলতি বছরের ১ অক্টোবর দেশের বড় বড় শহরগুলিতে ৫জি(5G) পরিষেবা দেওয়ার প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। ওই ৫জি পরিষেবা দিচ্ছে মুকেশ আম্বানীর জিও(Jio) টেলিকম সংস্থা। কলকাতা(Kolkata) ছাড়াও দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হয়দরাবাদ, বারাণসী ও নাগপুরে এই পরিষেবা এখন পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন বাংলার(Bengal) সর্বত্র এই পরিষেবা মিলুক। আর তার জন্য যে রাজ্য সরকার প্ররতুত আছে তা এবার জানিয়ে দিলেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের কর্তারা।

আরও পড়ুন কলকাতায় আসছেন ভাইজান, এসেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ

রাজ্যের বুকে সর্বত্র কীভাবে দ্রুত ৫জি পরিষেবা চালু করা যায় তা নিয়ে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের তরফে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল সোমবার নিউটাউনে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই বৈঠক বসেছিল। সেখানেই রাজ্যের তরফে তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের কর্টারা জানিয়ে দেন রাজ্য ৫ জি পরিষেবা চালুর জন্য পুরোপুরি তৈরি। এই ধরনের পরিষেবা দেওয়ার জন্য টেলিকম সংস্থাগুলিকে প্রচুর টাওয়ার বসাতে হবে। কিন্তু বাংলার বুকে টাওয়ার বসানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিক বাধার মুখে পড়তে হয়েছে টেলিকম সংস্থাগুলিকে। ওই সব টাওয়ার বসানোর জেরে যেমন তোলাবাজির মুখ পড়তে হয়েছে তেমনি স্থানীয় স্তরেও আমজনতার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে টাওয়ার সংস্থাগুলিকে। কোথাও কোথাও সরকারি স্তর থেকেও বাধা এসেছে। এই বিষয়গুলি আগেই মুখ্যমন্ত্রীর কানে গিয়েছিল। তাঁর নির্দেশেই পুলিশ ও প্রশাসন বেশ কিছু ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করে সমস্যার সমাধান করেছে। কিন্ত্যু ৫জি পরিষেবাকে বাংলাজুড়ে ছড়িয়ে দিতে হলে যে বিশাল কর্মযজ্ঞের মুখে টেলিকম সংস্থাগুলিকে নামতে হবে সেখানে প্রতি ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সহায়তার প্রয়োজন। সেই বিষয়টি গতকালের বৈঠকে তোলেন টেলিকম সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন মমতা

এই বিষয়ে টেলিকম সংস্থার প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করে রাজ্যের তরফে তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের প্রধান সচিব রাজীব কুমার জানান, ৫জি পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে টাওয়ার বেশি সংখ্যায় বসাতে হবে। সেই কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার থেকে আর মোবাইল টাওয়ার বসানোয় স্থানীয় প্রশাসনের কোনও অনুমতি লাগবে না। নেই। জেলার ক্ষেত্রে জেলাশাসক এবং শহরের ক্ষেত্রে পুরসভা কেন্দ্রীয়ভাবে অনুমতি দিলেই টাওয়ার বসানো যাবে। স্থানীয় কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত প্রধান, বোরো কমিটির সদস্য, বোরো চেয়ারম্যান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্য, সাংসদ বা বিধায়ক কারোর কাছ থেকেই আর কোনও অনুমতি নিতে হবে না। তবে কোনও বেসরকারি সম্পত্তির ওপর টাওয়ার বসাতে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকের অনুমতি থাকা আবশ্যিক। এরপর অনলাইনে আবেদন করলেই তা মঞ্জুর হবে। বেসরকারি জমিতে টাওয়ার বসানোর জন্য সরকারকে এক পয়সাও দিতে হবে না। অনেকেই মনে করছেন, রাজ্য সরকারের এই সব সিদ্ধান্তের জেরে গ্রামীণ ও শহর এলাকায় তোলাবাজির ঘটনা অনেকটাই বন্ধ হয়ে যাবে বা গিয়েছে।

আরও পড়ুন বঙ্গবাসী সতর্ক হন মোবাইল ব্যবহার নিয়ে, সমীক্ষা নবান্নের

পাশাপাশি রাজীববাবু এটাও জানিয়েছেন, রাজ্যজুড়ে ৫জি পরিষেবা চালু হলে কৃষি ও শিক্ষাক্ষেত্রে নয়া দিগন্ত আসবে। দুটি ক্ষেত্রেই অনলাইনের মাধ্যমে কৃষক ও পড়ুয়ারা অনেক কিছু জানতে পারবেন, শিখতে পারবেন, দ্রুত কাজ সারতে পারবেন। আর এর জন্য টেলিকম সংস্থাগুলিকে রাস্তার পাশে নতুন করে প্রচুর পোল বসাতে হবে। সেগুলিতে যেন মোবাইল চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। মোবাইল পরিষেবার জন্য সরকারি পোল ব্যবহার করলে বছরে ১০০ টাকা ভাড়া দিতে হবে টেলিকম সংস্থাগুলিকে। সরকারি জমিতে নিজেরা পোল বসালে বছরে ফি দিতে হবে ১০০০ টাকা। রাজ্য এবং জেলা স্তরে এই কাজ দেখভাল করতে গঠিত হয়েছে কমিটি। এই সরকারি কমিটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ফাইবার অপটিক কেবল বসাতে টেলিকম সংস্থাগুলিকে রাস্তা খুঁড়তে হয়। রাস্তাকে আগের রূপে ফেরাতে পূর্ত দফতরের নির্ধারিত খরচের টাকা মেটাতে হবে। কোনও সংস্থা চাইলে নিজেরাও রাস্তা সারিয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে কোনও ফি লাগবে না। ফাইবার অপটিক কেবল বসানোর কাজেও স্থানীয় প্রশাসন বা সরকারকে কোনও ফি দিতে হবে না। আর রাজ্য সরকারের তরফে এই সব সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এখন অনেকেই মনে করছেন বাংলার বুকেই খুব শীঘ্রই ৫জি পরিষেবায় কার্যত বিপ্লব আসতে চলেছে। রাজ্যজুড়ে ৫জি পরিষেবা চালু হলে ৫জি মোবাইলের বিক্রির ক্ষেত্রেও যেমন জোয়ার আসবে তেমনি অনলাইন পরিষেবার দিকেও আমজনতা আরও বেশি করে ঝুঁকবে। সেই সঙ্গে রাজ্যের কোষাগারেও বাড়তি অর্থ আসবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার সুপ্রিম শুনানি সোমবার

ভোটের মধ্যেই বাংলাদেশ-সহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রফতানির অনুমোদন কেন্দ্রের

সিটি সেন্টারে ভোটদানে উৎসাহ প্রদান প্রশাসনের, তৈরি সেলফি জোন

রবিবার কলকাতা তেঁতে পুড়ে যাবে, উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ঝড় -বৃষ্টির পূর্বাভাস

এবার আর Vote Boycot’র ডাক দিচ্ছে না Smart City Newtown

২ দিনে ৪৭ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর