নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের জনসংখ্যার অনুপাতে ডাক্তার(Doctors) নেই। ফলে হাসপাতালগুলিতে(Hospitals) চিকিৎসকের অভাব দেখা দিচ্ছে। প্রতি বছর রাজ্যের মেডিকেল কলেজ(Medical College) থেকে যত ছাত্রছাত্রী ডাক্তারি পাশ করেন, তা দিয়ে সেই চাহিদা মিটছে না। সে জন্যই রাজ্যে আরও নতুন মেডিকেল কলেজ চালু করার দরকার আছে। আর তাই চিকিৎসক ও চিকিৎসা পরিষেবার ঘাটতি মেটাতে রাজ্যে আরও চারটি নতুন মেডিকেল কলেজ খুলতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এর জন্য শীঘ্রই কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠাতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর(Health Department)। অন্তত নবান্ন সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মৌখিক অনুমোদন মিলেছে। এখন কেন্দ্রের লিখিত সম্মতি মিললেই কাজ শুরু হবে বলে জানাচ্ছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।
বর্তমানে রাজ্যে ২৩টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। কিন্তু তা দিয়ে সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসকের ঘাটতি মেটানো যাচ্ছে না। আর তার জেরেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলায় যে সব মেডিকেল কলেজের আসন সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে, সেগুলিকে ভেঙে নতুন মেডিকেল কলেজ খোলা হবে। তবে সেক্ষেত্রে ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশনের ছাড়পত্র যেমন লাগবে তেমনি টাকার দরকারও আছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ৪টি নতুন মেডিকেল কলেজ খোলার জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চাইবে রাজ্য সরকার। দিন কয়েক আগে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। তখন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অতিথি নিবাসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে নতুন মেডিকেল কলেজ খোলার বিষয়ে তাঁকে জানান রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের দাবি, রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে নতুন মেডিক্যাল কলেজ খোলায় মৌখিক সম্মতি জানিয়েছেন মাণ্ডব্য।
স্বাস্থ্য পরিষেবা ছড়িয়ে দিতে রাজ্য সরকার জেলায় জেলায় মাল্টি সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল চালু করেছে। কলকাতার হাসপাতালের উপর চাপ কমাতে জেলা ও মহকুমা হাসপাতালে বেডের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। National Urban Health Mission প্রকল্পে প্রতিটি ব্লক এবং শহরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রও গড়ে উঠছে। কিন্তু তার জন্য প্রচুর ডাক্তার ও নার্সের প্রয়োজন রয়েছে যার ব্যবস্থা এখন থেকে করতে না পারলে ওই প্রকল্পগুলি সাফল্যের মুখ দেখবে না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এখন থেকেই এই বিষয়ে নজর দিতে চাইছে। তাছাড়া বেশি মেডিকেল কলেজের অর্থ, আরও বেশি সংখ্যক পড়ুয়া ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাবেন। সেই সঙ্গে বাড়বে হাসপাতালের শয্যাও। সব মিলিয়ে লাভবান হবে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো।