নিজস্ব প্রতিনিধি: বেকার যুবক-যুবতীদের পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার চালু করেছে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড(Bhabishwat Credit Card)। সেই কার্ডের জন্য ‘দুয়ারে সরকার’(Duyare Sarkar) মারফত আবেদনও(Application) জমা পড়েছে ৫০ হাজারের বেশি। সেই সব আবেদনের প্রায় সবই যাচাই করে ব্যাঙ্কের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে দিয়েছে জেলাগুলি। ব্যাঙ্ক যাতে সেই সব আবেদন অনুমোদন করে তার জন্য এবার রাজ্য সরকার সেখানে Guarantor হচ্ছে। ওই আবেদনগুলি গৃহীত হলে ১৫৫০ কোটি টাকার ঋণ(Loan) পাবেন রাজের বেকার যুবক-যুবতীরা তা সে ব্যবসা শুরুর জন্যই হোক কী ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য। কার্যত সমপরিমাণ অর্থের অর্থাৎ ১৫৫০ কোটি টাকার Guarantor হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এর ফলে কোনও উপভোক্তা যদি তাঁর ঋণ পরিশোধ না করেন, তাহলে তা রাজ্য সরকার মিটিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ওপরেও লাগু হচ্ছে বিধিনিষেধ
চলতি অর্থবর্ষের বাজেট পেশ কালে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য বিধানসভায় যে বাজেট পেশ করেন সেখানেই ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড চালুর কথা ঘোষণা করেন। সেই ঘোষণার পরে পরেই সদ্যসমাপ্ত ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচীতে এর জন্য আবেদন জমা দিতেও বলা হয়েছিল। সেখানেই ৫০ হাজার আবেদন জমা পড়ে এই ক্রেডিট কার্ড চেয়ে। সেই সব আবেদনের মধ্যে বেশ কিছু আবেদন খতিয়ে দেখে এখনও পর্যন্ত ২৮৩ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ফেলেছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, নবান্ন সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। এক কথায়, এই টাকার দায়ভার রাজ্য ইতিমধ্যেই নিয়ে ফেলেছে। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচীতে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড চেয়ে মোট ৫৭,৯৬৮টি আবেদন জমা পড়ে। সেই সব আবেদন গৃহীত হলে মোট প্রদেয় ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ২,০৬২ কোটি টাকা। যদিও সব আবেদন ব্যাঙ্ক অবধি যায়নি। ঝাড়াই বাছাই করে ৪৩ হাজারের কিছু বেশি আবেদন ব্যাঙ্কের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে থেকে ৯ হাজারের মতো আবেদন গ্রহণ করে তা মঞ্জুর করে দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক যেখানে ওই ২৮৩ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর হয়েছে। বাকি আবেদনগুলিও যাতে গৃহীত হয় তার জন্য আর্জি জানিয়েছে রাজ্য।
আরও পড়ুন নিরাপত্তা তহবিলের খরচ দেখতে বাংলায় আসছে কেন্দ্রীয় দল
এদিকে এই ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো রাজ্য সরকার একটি তহবিল তৈরি করেছে। সেই তহবিল থেকে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’র ‘Loan Defaulter’ বা যারা ঋণ পরিশোধে অক্ষম হবেন তাঁদের ঋণ পরিশোধ করা হবে। পাশাপাশি এই প্রকল্প নিয়ে জেলায় জেলায় নিয়মিত বৈঠক এবং নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্ন থেকে। ব্যাঙ্ক, চেম্বার এবং অন্যান্য মহলের সঙ্গে যথাসময়ে আলোচনা করতেত বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনগুলিকে। ব্যাঙ্কগুলি যাতে দ্রুত আবেদন গ্রহণ করে টাকা ছেড়ে দেয়, তার জন্য তাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য।