এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

নতুন ৯ লক্ষ মহিলার হাত ধরেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পার ২ কোটির ঘর

Courtesy - Google and Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে রাজ্যে বসেছিল সপ্তম দুয়ারে সরকার(Duyare Sarkar)। সেই কর্মসূচি শেষ হয়েছে গত মাসেই। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারেও সব থেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার(Lakhir Bhandar) ও স্বাস্থ্যসাথী(Swasthasathi) কার্ডের জন্যই। এর মধ্যে ৯ লক্ষ মহিলাকে(Women) লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা দিতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। এখন রাজ্যের ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩১ জন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। এবার তার সঙ্গে আরও ৯ লক্ষ মহিলা যোগ হতে চলেছেন। আর তার দৌলতেই বাংলার(Bengal) বুকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় ২ কোটিরও বেশি মহিলা চলে এলেন। প্রকল্পটিও ২ কোটির ঘর পার হয়ে গেল।  

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেই বছর দুর্গা পুজোর আগেই বাংলার দেড় কোটি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’র আর্থিক অনুদান পাঠানো শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মাত্র দু’বছরেই সেই প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যা এবার ২ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল। নবান্ন সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই নতুন করে যুক্ত হওয়া ৯ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো শুরু হবে। পুজোর মুখে রাজ্যের এই সমস্ত মহিলার জন্য এটাই মুখ্যমন্ত্রীর তরফে দুর্গাপুজোর উপহার হতে চলেছে বলেও জানাচ্ছেন রাজ্যের আধিকারিকরা। নতুন উপভোক্তা সংযুক্ত হলে, তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করান মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। এবারও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসনিক মহল। একই সঙ্গে যে ২ কোটিরও বেশি মহিলা এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় এসেছেন তাঁদের বয়স ৬০ পেরোলেই একেবারে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে তাঁদের নাম বার্ধক্য ভাতার তালিকায় চলে যাবে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় এখন বাংলার তফসিলি জাতি ও উপজাতির উপভোক্তারা পান প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে। বাকিরা পান ৫০০ টাকা করে। বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রে অবশ্য সবাই প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করেই পান। এই প্রকল্প চালু হওয়ার পরে রাজ্যের সব থেকে বড় নির্বাচন ছিল সদ্য মিটে যাওয়া পঞ্চায়েত ভোট। এই নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলকে ডিভিডেন্ড জুগিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার অর্থ কেন্দ্র আটকে রেখে বাংলার গ্রামীণ অর্থনীতিতে ‘ক্ষত’ তৈরি করতে চাইলেও, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তাতে কিছুটা প্রলেপ দিতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করেন সমাজবিদরা। একই সঙ্গে দেশের মধ্যে মাত্র ১টি রাজ্যে একটি প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ায় তা কার্যত এক নয়া রেকর্ড তৈরি করেছে। এতদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য প্রতি মাসে রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ হতো প্রায় ১০৯০ কোটি টাকা। নতুন করে ৯ লক্ষ উপভোক্তা যুক্ত হওয়ায় প্রকল্প বাবদ প্রতিমাসে আরও ৪৫ কোটি টাকা খরচ বাড়বে। অর্থাৎ, এক বছরে এই খাতে মোট খরচ গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকায়।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার সুপ্রিম শুনানি সোমবার

সিটি সেন্টারে ভোটদানে উৎসাহ প্রদান প্রশাসনের, তৈরি সেলফি জোন

রবিবার কলকাতা তেঁতে পুড়ে যাবে, উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ঝড় -বৃষ্টির পূর্বাভাস

এবার আর Vote Boycot’র ডাক দিচ্ছে না Smart City Newtown

‘গতর খাটিয়ে খাই, শ্রমিকের অধিকার চাই’, মে দিবসে বন্ধ থাকবে সোনাগাছি

হাওড়ার ডুমুরজলায় হচ্ছে না মোদির সভা, বড় ধাক্কা রথীনের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর