নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ ২৩ জানুয়ারি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর(Netaji Subhash Chandra Bose) ১২৭তম জন্মবার্ষিকী। প্রতি বছর রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতার(Kolkata) রেড রোডে নেতাজির জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবারেও সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রতিবছরের মতোই এবারেও সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন সেই মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নিশানা বানালেন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকারকে। নিশানা বানিয়েছেন, নেতাজির Planning Commission তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ(NITI Aayog) চালু করার সিদ্ধান্তকে নিয়েও। এদিন নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদান এবং শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যই রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা না করা থেকে শুরু করে মৃত্যু রহস্য উদঘাটন না হওয়া একাধিক বিষয়ে আক্ষেপ শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তবে চর্চার বিষয় হয়েছে সেই নীতি আয়োগ।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আগে Planning Commission ছিল। নেতাজি সেই কমিশন তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিলেন। নেহেরু থেকে ইন্দিরা গান্ধি, রাজীব গান্ধি থেকে অটলবিহারী বাজপেয়ী আমলেও সেটা ছিল। সেখানে ভালো কাজ হতো। এখন প্ল্যানিং কমিশন তুলে দেওয়া হয়েছে। Planning-টা হয় ঠিকই, কিন্তু সেটা Killing’র। ঘৃণার রাজনীতি চলছে। বিভাজনের রাজনীতি হচ্ছে। দেশ গড়তে ভুলে গেছে। এখন হয়েছে নীতি আয়োগ। যার কোনও নীতি নেই, আয়োগ নেই। মোমের পুতুলের মতে। রাজ্যের কথা বলার জায়গা নেই। যা বলার শুধু উনি বলবেন। একা। মন কা বাত শোনায়, মানুষের কথা শোনায় না। নীতি আয়োগে এখন নীতি এবং আয়োগ কোনওটাই নেই। দেশের নেতার সেই ভালবাসা আর নেই৷ গরিবের প্রতি ভালবাসা থাকতে হয়৷ হিন্দুর নামে হিন্দু ধর্মের বদনাম করছে খালি। আর থেকে থেকেই টাকা আটকে দাও। লজ্জাও লাগে না এদের। মানুষকে দিয়ে কাজ করিয়ে টাকা দেয় না। ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে আবাস সবটাই আটকে রেখে দিয়েছে। আর নীতি আয়োগ বসে বসে ঘুমাচ্ছে।’
এদিনের অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইটও করেন। তাতে তিনি লেখেন, ‘যখন আমরা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর 127 তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করি, তখন আমার হৃদয় একজন সত্যিকারের নায়কের জন্য গভীর প্রশংসায় ফুলে ওঠে, যিনি আমার জন্য, অনুপ্রেরণার একটি চিরন্তন উৎস। তার সাহস, দূরদৃষ্টি এবং মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা আমার মধ্যে গভীর আবেগ জাগিয়েছে। নেতাজির আত্মা সময়কে অতিক্রম করে এবং স্বাধীন ভারতের প্রতিটি হৃদস্পন্দনে বেঁচে থাকে। আজ, আসুন আমরা তাঁর যাত্রার সারাংশের সাথে সংযোগ করি এবং তাঁর আত্মত্যাগের স্পন্দন অনুভব করি। আমরা এই দৈত্যের কাঁধে দাঁড়িয়ে, আসুন আমরা তার দৃষ্টি এবং উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করি!’