নিজস্ব প্রতিনিধি: মধ্যমগ্রাম(Madhyamgram) শহর জুড়ে এই মুহূর্তে ১১০০ উপরে টোটো(Toto) চলছে। পাশাপাশি রয়েছে উবের টোটো। অলিতে গলিতে টোট স্ট্যান্ড গজিয়ে উঠছে। একইসঙ্গে অটোচালকদের সঙ্গে টোটোচালকদের মন কষাকষি যেন নিত্য ঘটনা। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য টোটোগুলিকে বৈধতা দিতে অভিনব উদ্যোগ নিল INTTUC টোটো ইউনিয়ন ও মধ্যমগ্রাম পুরসভা। ঠিক হয়েছে, মধ্যমগ্রামে টোটোর দাপট ঠেকাতে লাগানো হচ্ছে QR Code। টোটোগুলিতে এই বারকোড হবে তাদের পরিচয়পত্র। চলতি মাসের মধ্যেই এই অভিনব উদ্যোগ চালু হতে চলেছে। আর এই QR কোড লাগানোর জন্য খরচ হচ্ছে ১ লাখ ২৩ হাজার।
আরও পড়ুন‘মোদিকে তুষ্ট করতে চাইছেন রাজ্যপাল’, তৃণমূল খোঁচা আনন্দকে
টোটো ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগের জন্য অর্ধেক খরচ বহন করবে ইউনিয়ন। এরপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, চলতি মাস থেকেই মধ্যমগ্রামের টোটোতে QR Code বসানো হবে। মধ্যমগ্রাম INTTUC টাউন প্রেসিডেন্ট কুমারেশ চক্রবর্তী টোটো নিয়ে সমস্যার বিষয়টি উপলব্ধি করেন। অবৈধ টোটো চালকদের বাড়বাড়ন্ত না ঠেকালে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন, মনে করেছিলেন তিনি। এরপরেই এই প্রসঙ্গে পুরকর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সঙ্গেও আলোচনা করেন তিনি। আলোচনায় উঠে আসে QR Code প্রসঙ্গও। তারপর খাদ্যমন্ত্রী জেলাশাসকের সঙ্গে এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে কথা বলেন এবং টোটোয় QR Code লাগানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জানা গিয়েছে, QR Code স্ক্যান করা হলে টোটো মালিকের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। সরকারি রেজিষ্ট্রেশন নম্বর থাকবে এক্ষেত্রে। এই উদ্যোগ পুরোপুরি সম্পন্ন হলে যে সমস্ত টোটোগুলিতে QR Code থাকবে না সেগুলিতে আর মধ্যমগ্রামে চলাচল করতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন তৃণমূলের ধর্না মঞ্চে বিজেপির বিধায়ক, অস্বস্তিতে পদ্মশিবির
এর ফলে একদিকে যেমন টোটোর একচেটিয়া দাপট ঠেকানো সম্ভব হবে, তেমনই বেআইনিভাবে যে টোটোগুলি চলছিল তা ঠেকানো সম্ভব হবে। পুরো পদ্ধতিটিই ডিজিটাল হতে চলেছে। মধ্যমগ্রাম শহর INTTUC সভাপতি কুমারেশ চক্রবর্তী এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে জানান, জেলাশাসক,মহকুমা শাসক, মোটর ভেহিকলস, পুলিশ সুপার সহ সমস্ত প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হয়েছে। এই উদ্যোগ চালু হলে কী ভাবে মানুষ উপকৃত হতে চলেছেন সেই বিষয়টিকেও দেওয়া হয়েছে প্রাথমিকতা। এরপরেই QR Code চালু নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।