নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) বাংলার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্যই তাঁদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণাও করে দিয়েছে ১ সপ্তাহ আগেই ব্রিগেডের জনসভা থেকে। অথচ কেন্দ্রের শাসক দল তথা বাংলার প্রধান বিরোধী দল বিজেপি(BJP) এখনও বাংলার অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থীদের নামই ঘোষণা করে উঠতে পারেনি। তৃণমূলের প্রার্থীরা যেখানে নিজ নিজ এলাকায় প্রচার শুরু করে দিয়েছেন সেখানে বিজেপির কর্মীরা বাড়িতে শুয়ে ঘুমিয়ে হাই তুলে দিন কাটাচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে, উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন কলকাতা পুরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ(Sajal Ghosh)। গার্ডেনরিচ কান্ডে(Gardenreach Building Collapse Incident) এদিন অর্থাৎ সোমবার সেই সজলই পড়ে গেলেন গণরোষের মুখে। ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে তাঁকে উদ্ধার করার পাশাপাশি মার খাওয়ার মতো পরিস্থিতি থেকে বাঁচালো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারের পুলিশ ও প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, সজল এদিন হুট করেই গার্ডেনরিচে দুর্ঘটনাস্থলে চলে গিয়েছিলেন। অভিযোগ সেখানে তিনি শাসক দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সজলের দাবি, এই দুর্ঘটনার পিছনে জড়ত আছে শাসক দলের মদতে চলা বেআইনি নির্মাণ ব্যবসার। তাই গ্রেফতার করতে হবে এলাকার বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম ও এলাকার কাউন্সিলর সামশ ইকবালকে। আর তার পরে পরেই এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ধেয়ে যান সজলের দিকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত ও অসুস্থ হয়ে এলাকায় এসে পরিদর্শন করে গিয়েছেন। তিনি কোনও রাজনীতি করতে আসেননি। কিন্তু বিজেপির লোকেরা মাঠে নেমে পড়েছে এই অবস্থায়। মানুষের পাশে দাঁড়ানো দূরের কথা, তাঁরা এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে কদর্য রাজনীতি করতে নেমে এসেছেন। ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী কার্যত সজলকে মারধর শুরু করলে ত্রাতা হয় পুলিশ। তাঁরা কোনওরকমে সজলকে উদ্ধার করে এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে আসেন। যদিও সজলের দাবি, তিনি নিহত ও আহতদের পরিবারবর্গের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন।